বুধবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

স্বামীসহ তিনজনের ফাঁসি আপিল বিভাগেও বহাল

তানিয়া হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্ত্রী হত্যায় জড়িত থাকায় স্বামী জাহিদ হাসান জুয়েলসহ তিনজনের ফাঁসির আদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির আপিল খারিজ করে গতকাল প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দেয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি হলেন জাহিদের গাড়িচালক শাহিন আলম শাহিন ও ভাড়াটে খুনি মিজানুর রহমান। তাহমিনা শারমিন তানিয়া হত্যা মামলার এই তিন আসামিই কারাগারে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খোন্দকার দিলীরুজ্জামান। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা রিভিউ আবেদন করতে পারবেন। জানা গেছে, ২০০৭ সালের ২৭ জানুয়ারি স্ত্রী তানিয়াকে নিয়ে জাহিদ কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে যান। ৩০ জানুয়ারি সেখান থেকে ফেরার পথে রাতে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার রাজপাড়া (হাইওয়ে রাস্তার পশ্চিমে) নামক স্থানে গাড়িটি স্বামী জাহিদের পাতানো ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে। ছিনতাইকারী সেজে ভাড়াটে খুনি মিজান, স্বামী জাহিদ ও গাড়িচালক শাহিন গাড়ির ভিতর তানিয়াকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর ১০ মাসের শিশুসন্তানসহ তানিয়াকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যায় আসামিরা। ঘটনাস্থলে তারা কাশেম নামের একজনের ভুয়া পরিচয়পত্র ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তানিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরদিন ৩১ জানুয়ারি তানিয়ার ভাই রায়হান গফুর বাদী হয়ে জাহিদ ও কাশেমের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও দুজনকে আসামি করে পটুয়াখালীর কলাপাড়া থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ৩০ এপ্রিল পুলিশ জাহিদ, শাহিন ও মিজানের নামে অভিযোগপত্র দেয়। এর মধ্যে আসামিরা গ্রেফতার হয়ে ঘটনার ব্যাপারে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। বিচার শেষে পটুয়াখালীর জেলা ও দায়রা জজ আদালত এই তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা হাই কোর্টে আপিল করে। আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে হাই কোর্ট ২০১২ সালের ৮ জুলাই তিনজনের মৃত্যুদণ্ডই বহাল রাখে। পরে আসামিরা হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যান।

সর্বশেষ খবর