শনিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল প্রকল্পে লুটপাটের অভিযোগ

মসজিদের কাজেও হচ্ছে নয়ছয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল স্থাপন প্রকল্পে লাখ লাখ টাকার লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এই প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থের সিকিভাগও খরচ না করে নিম্নমানের সামগ্রী স্থাপন করে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ জনপ্রতিনিধিদের। অনিয়মের কারণে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। বরিশাল জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদফতরের কর্মকর্তা প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেছেন, সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ না দিয়ে চাল দেওয়ায় কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল স্থাপনকারী প্রতিষ্ঠান ‘ইটকল’ বরাদ্দকৃত চাল নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে পারেনি। তাই পূরণের জন্য কাজে অনিয়ম করেছে ইটকল।

২০১৫-১৬ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) এবং গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) কর্মসূচির আওতায় বরিশাল সদর উপজেলায় সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল স্থাপনের দায়িত্ব পায় ‘ইটকল’ নামে একটি সংস্থা। ওই সংস্থা প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট জেলা-উপজেলায় সাব ঠিকাদার নিয়োগ করেছে। নিযুক্ত সাব ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো সৌরবিদ্যুৎ স্থাপনের নামে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। বরিশাল সদর উপজেলায় ইটকলের সাব ঠিকাদার হিসেবে কাজ করে ‘গ্রীন ব্রাইট এনার্জি ফাউন্ডেশন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। সদর উপজেলা পরিষদ সূত্র জানায়, সদর উপজেলায় ১৮৪টি প্রতিষ্ঠানে সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল স্থাপন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ৫৫ লাখ ১৪ হাজার টাকা (সম মূল্যের চাল)।

সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শাহিন বলেন, সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের চরহোগলা চৌধুরী বাড়ি জামে মসজিদে ৮৭ হাজার ৫০০ টাকার প্রকল্পের সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল স্থাপন কাজের ১০ হাজার টাকাও ব্যয় হয়নি। নিম্নমানের সামগ্রী স্থাপন করে সমুদয় অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। বিষয়টি তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান জানান, তিনি ইউনিয়ন পরিষদ, স্কুল এবং মসজিদে সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল স্থাপনের জন্য ১০টি প্রকল্প দিয়েছিলেন। এর বিপরীতে ইউনিয়ন পরিষদে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকার প্রকল্প দেওয়া হয়। কিন্তু ইটকল ও ব্রাইট নামে দুটি প্রতিষ্ঠান যে মালামাল দিয়েছে তা একেবারে নিম্নমানের। এতে সর্বাধিক দেড় লাখ টাকা খরচ হতে পারে। বিষয়টি তিনি সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এবং সাব ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ব্রাইটের ম্যানেজারকে অবহিত করলেও তারা সৌরবিদ্যুৎ প্যানেলের কোনো পরিবর্তন করেনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর