সোমবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

শেয়ারবাজারে নজরদারি বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

মুদ্রানীতি ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

শেয়ারবাজারে নজরদারি বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

সাড়ে ১৬ শতাংশ ঋণ প্রবৃদ্ধি রেখে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ষাণ্মাসিক মুদ্রানীতিতে আগামী জুন পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ ঋণ প্রবাহের হার ১৬.৪ শতাংশ ধরা হয়েছে। গতকাল মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গভর্নর ফজলে কবীর নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন। গভর্নর জানান, যেন স্টক মার্কেটে ঋণ প্রবাহ চলে না যায় মুদ্রানীতিতে সে জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া চুরি যাওয়া রিজার্ভের অর্থ উদ্ধারে ফিলিপাইনে আইনি প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে।

মুদ্রানীতি ঘোষণা করে লিখিত বক্তব্যে গভর্নর বলেন, ২০১০ সাল থেকে শেয়ারবাজারে বিরাজমান মন্দা থেকে বেরিয়ে আসায় এক ধরনের ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে। বর্তমান ঊর্ধ্বমুখী বাজারে কর্তৃপক্ষের সুদৃঢ় নিয়ন্ত্রণ যেন থাকে এ বিষয়ে কার্যকর নজরদারি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। তা না হলে অতীতের মতো এবারও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে উদ্যোক্তাদের শেয়ার ধারণ ও কোম্পানির উচ্চ পিই রেশিও শেয়ারে মার্জিন ঋণ জোগানে বিধিনিষেধ আরোপ করা যেতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে সতর্কতা হিসেবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর কঠোর নজরদারি রয়েছে। এর মধ্যে গ্রাহকদের ঋণ সঠিক খাতে ব্যয় না করে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ না করে তার ওপর নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। অস্বাভাবিক মুনাফার আশায় কেউ যেন ঋণের অর্থ শেয়ারবাজারে ব্যবহার করতে না পারে।

তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চুরি যাওয়া রিজার্ভের অর্থ উদ্ধারে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ১৫ মিলিয়ন ডলার ফেরত পাওয়ার পর আরও ২৯ মিলিয়ন ডলার ফেরতের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে বিষয়টি ফিলিপাইনের সুপ্রিম কোর্টের কাছে রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিলে এটা ফেরত পাওয়া যাবে। এ বিষয়ে দেশটির হাই কোর্ট বাংলাদেশের পক্ষে রায় দিয়েছে।

ঘোষিত মুদ্রানীতিতে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে বেসরকারি খাতে মুদ্রার জোগান আগের মতোই সাড়ে ১৬ শতাংশে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মুদ্রানীতির ঘোষণায় বলা হয়, দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ গত বছর প্রায় ১৮ শতাংশ কমেছে। বৈশ্বিক কারণে এ হার কমলেও দ্রুত তা স্থিতিশীল পর্যায়ে ফিরে আসবে। ব্রেক্সিট ও গ্লোবালাইজেশনের কারণে বাংলাদেশের রপ্তানি হার কমেছে। তবে মোট রপ্তানির বিপরীতে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এ বছর রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪.৪ শতাংশ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর