মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

কলকাতা বইমেলায় সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর বই

কলকাতা প্রতিনিধি

কলকাতা বইমেলায় সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর বই

কলকাতার বইমেলায় শনিবার ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর গবেষণা গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন হয় —বাংলাদেশ প্রতিদিন

ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ‘জাতীয়তাবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও জনগণের মুক্তি (১৯০৫-৪৭)’ শীর্ষক গবেষণা গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন হয়েছে কলকাতার বইমেলায়। বিশ্ব বঙ্গীয় প্রকাশন থেকে প্রকাশিত গ্রন্থটি মূলত ভারতীয় সংস্করণ। প্রায় দশ বছর ধরে রচিত ‘জাতীয়তাবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও জনগণের মুক্তি’ গবেষণাগ্রন্থটি ২০১৫ সালে ঢাকায় অমর একুশে বইমেলায় ‘সংহতি পাবলিকেশন্স’ থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়। এর আগে কলকাতার চিরায়ত প্রকাশনী থেকে লেখকের ‘শরত্চন্দ্র ও সামন্তবাদ’ ও ‘বঙ্কিমচন্দ্র : জমিদার ও কৃষক’ প্রকাশিত হয়েছিল। শনিবার  মেলা প্রাঙ্গণে প্রেস কর্নারে মোড়ক উন্মোচন করেন কলকাতার সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সের অধ্যাপক গৌতম ভদ্র। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বনামধন্য সাহিত্যিক ড. পবিত্র সরকার। উপস্থিত ছিলেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবু তালিব খান ও প্রখ্যাত প্রাবন্ধিক আবদুর রাউফসহ কলকাতার অন্যান্য সাহিত্যিক। বইটি এবারের ৪১তম কলকাতা বইমেলায় বিশ্ববঙ্গীয় প্রকাশনের ৫১৫নং স্টলে অথবা তাদের নিজস্ব কলেজ স্ট্রিটের ঠিকানায় পাওয়া যাচ্ছে। ৮২৪ পৃষ্ঠার গবেষণা গ্রন্থের মূল্য ৮০০ টাকা। বিশ্ব বঙ্গীয় প্রকাশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯০৫ সালের প্রথম বঙ্গভঙ্গ থেকে শুরু করে ১৯৪৭ সালের দ্বিতীয় বঙ্গভঙ্গ পর্যন্ত সময়টুকু নিয়ে রচিত গ্রন্থটি প্রচলিত অর্থে ঘটনার বর্ণনা নয়, বরং ঘটনার তাত্পর্য অনুসন্ধানের বিশিষ্টতায় অনন্য। বাঙালির জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটেছিল এই সময়টুকুর মধ্যে, বিশেষ করে প্রথমবারের বঙ্গভঙ্গের প্রতিরোধ যে তীব্র দেশাত্মবোধের আর আত্মপোলব্ধির সম্ভাবনার জন্ম দিয়েছিল, তারই হাত ধরে। অন্যদিকে ওই বঙ্গভঙ্গের মধ্য দিয়েই বাংলায় আধুনিক সাম্প্র্রদায়িকতা বিস্তারের ইতিহাসটিও শুরু। এই হাত ধরাধরি করে চলে জাতীয়তাবাদ, সাম্প্রদায়িক রাজনীতির আধিপত্যের মাঝেই মানুষের মুক্তির প্রশ্নটি কীভাবে আটকা পড়ল পরিচয়ের রাজনীতির আড়ালে, কীভাবে তাদের শ্রমিক বা কৃষক পরিচয়কে ভুলিয়ে ভারতীয় বা পাকিস্তানি, হিন্দু বা মুসলিম পরিচয়কেই সামনে টেনে এনে প্রধান পরিচয় বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেটাই এই গ্রন্থের অন্যতম উপজীব্য।

সর্বশেষ খবর