বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

এবড়ো-খেবড়ো ধুলাময় রাস্তা

আহমেদ আল আমীন

এবড়ো-খেবড়ো ধুলাময় রাস্তা

ঘর থেকে রাস্তায় বের হতেই দেখা মেলে ময়লা, আবর্জনা ও ধুলাবালির আস্তরণ। অলিগলির ধুলাবালিতে বাসায় থাকাও কষ্টকর। এ শীতে তা বেশ ভোগান্তিতেই ফেলছে বাসিন্দাদের। বাজারের নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় ওয়ার্ডের কয়েকটি জায়গায় এমনকি রোডের মধ্যেও বসছে বাজার। আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপযুক্ত খেলার মাঠের সংকটও। ড্রেনেজ ও স্যুয়ারেজ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় রাস্তাঘাটে বর্ষায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। সরেজমিন পরিদর্শনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় এবড়ো-খেবড়ো রাস্তা, নিরাপদ পানির সংকট, যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা, মশামাছির উপদ্রব। বাজারের স্থান সংকট, ফুটপাথ দখল তো আছেই। সমস্যাসংকুল এলাকার মধ্যে পশ্চিম রামপুরা, উলন রোড, উলন বাজার, জমিদার গলি, ওয়েলকাম গলি, ওমর আলী লেন, মক্কী মসজিদের গলি, পলাশবাগ, ওয়াপদা রোড, পূর্ব রামপুরা, টিভি রোড ও ডিআইটি রোড উল্লেখযোগ্য। ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. লিয়াকত আলী বলেন, রাস্তাঘাটের সংস্কার ও পুনর্নির্মাণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলতে ডাম্পিং স্টেশন স্থাপনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে জনগণকেও এসব বিষয়ে সচেতন হতে হবে। বাসিন্দারা জানান, পশ্চিম রামপুরার পূর্ব উলন রোডজুড়েই বসছে বাজার। এতে পথচারীদের চলাচলে অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। পশ্চিম রামপুরার ডিআইটি রোড ও ওয়াপদা রোডের ফুটপাথ দখল করে পোলট্রির দোকান বসানো হয়েছে। এর ফলে স্থানীয় বাসিন্দা, পথচারী এমনকি ডিআইটি রোড দিয়ে যাতায়াতকারী বাসের যাত্রীরাও ভোগান্তিতে পড়েন। ওয়াপদা রোডসংলগ্ন এলাকা থেকে বিটিভি ভবন পর্যন্ত ডিআইটি রোডের উভয় অংশের দখল নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

উলন রোডের বাসিন্দা মামুন জানান, ড্রেনেজ ও স্যুয়ারেজ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় এ এলাকায় বর্ষাকালে ভোগান্তির শিকার হন নাগরিকরা। জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। খেলার মাঠের সংকট রয়েছে। রামপুরার স্থানীয় বাসিন্দা কাওসার জানান, কোনো কোনো রাস্তার কিছু রোডলাইট নষ্ট। ফলে রাতে পথচারীদের অসুবিধা হয়। ড্রেনেজব্যবস্থা ভালো না থাকায় বর্ষায় পানি জমে। রাস্তাঘাট ঠিকমতো পরিষ্কার করা হয় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, বাড়ির সামনে বা নিচে দোকান বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। এর ফলে ওই দোকান বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা ভোগান্তির শিকার হন। ওয়ার্ডের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা ভালো বলে স্থানীয়রা জানালেও অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন সময় স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কিছু উচ্ছৃঙ্খল নেতা-কর্মী মোটরসাইকেলে শোডাইন দেন। এতে পথচারী, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর