শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেই নছিমন-ব্যাটারি রিকশা!

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেই নছিমন-ব্যাটারি রিকশা!

আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে লক্কড় ঝক্কড় যানবাহন-নছিমন, ভটভটি, রিকশা ও ব্যাটারি রিকশা চলাচল করছে। এছাড়া চলছে লেগুনা ও সেইফ লাইন নামের নিবন্ধনহীন কিছু যানবাহন। এসব যানবাহনের চালকের আসনে আছে অদক্ষ চালক। এতে বাড়ছে দুর্ঘটনা। ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠছে মহাসড়ক। জানা যায়, গত মঙ্গল ও বুধবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড উপজেলার বিভিন্ন অংশে অভিযান পরিচালনা করে ৬১টি ব্যাটারিচালিত রিকশা, ৪০টি লেগুনা, ৮টি নসিমন, ২০০টি ব্যাটারি জব্দ করা হয়। এ সময় কোনো চালকের বৈধ লাইসেন্স পাওয়া যায়নি। অভিযানে আবাসিকে বিদ্যুৎ ব্যবহারের অনুমোদন নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করে ব্যাটারিতে চার্জ দেওয়ায় ২টি গ্যারেজকে সিলগালা করা হয়। জরিমানা আদায় করা হয় এক লাখ

টাকা। অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সীতাকুণ্ড উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মতো জাতীয় সড়কে এসব লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি চলছে তা ভাবতেই কষ্ট হয়। তিনি বলেন, সবচেয়ে গুরুতর হলো আবাসিকের অনুমোদন নিয়ে বিদ্যুতের বাণিজ্যিক ব্যবহার করছে উপজেলার প্রায় ৫০টি রিকশার গ্যারেজ। এসবের তালিকা আমরা সংগ্রহ করেছি। এসব গ্যারেজে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে বেপরোয়া ও অনিয়ন্ত্রিত গাড়ি চালানোর কারণে গত এক মাসে ১৭ জন নিহত হন।

চারলেনের এ সড়কে ছোট যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ হলেও বড় যানবাহনের সঙ্গে তারা পাল্লা দিয়ে গাড়ি চালানোর প্রতিযোগিতা করে। তাছাড়া মহাসড়কে চলাচল করা এসব যানবাহনের চালকদের ৭০ শতাংশেরই বৈধ কাগজপত্র নেই। ৩০ শতাংশ কাগজ আছে বলে দাবি করলেও এর মধ্যে ২০ শতাংশ জাল। স্থানীয়দের অভিযোগ, বেপরোয়া ও অনিয়ন্ত্রিত গাড়ি চালানো, মাত্রাতিরিক্ত গতি ও ওভারটেকের প্রতিযোগিতা, চালকদের অবসাদগ্রস্ততা, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, অদক্ষ-অনভিজ্ঞ চালক, ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানাই এসব দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।

সর্বশেষ খবর