রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

ভাঙল বাণিজ্য মেলা

২৪৩ কোটি টাকার স্পট অর্ডার বিক্রি প্রায় ১১৪ কোটি টাকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা রাজধানীর আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার সমাপ্তি ঘটেছে গতকাল। শেষ দিনে অন্যান্য দিনের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি মানুষ ভিড় করায় মেলা এলাকা জনসমুদ্রে রূপ নেয়। এবারের মেলায় মোট বিক্রি হয়েছে ১১৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকার এবং ২৪৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা বা ৩০ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন ডলারের স্পট অর্ডার পাওয়া গেছে। মেলার সমাপনী ঘোষণা করেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে আগে তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হতো। কিন্তু এখন আর সেদিন নেই। বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়ে যে কোনো সূচকে বাংলাদেশ রেখেছে উন্নয়নের ছাপ। আর এই উন্নয়নে ব্যবসায়ী, কৃষক, শ্রমিকসহ প্রতিটি কর্মজীবী মানুষের অংশগ্রহণ রয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভাবমূর্তি উন্নয়নে এই মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’ সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন এবং এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ। গতকাল দুপুরে সরেজমিন মেলা কেন্দ্রের প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতেই দেখা গেছে, তিল ধারণের ঠাঁই নেই। নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ, শিশু, তরুণ-তরুণী সবার মিলন কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল মেলা। খুব কম মানুষই দেখা গেছে— যারা মেলা থেকে কিছু না কিনে বাড়ি ফিরেছেন। দেখা গেছে, ফার্মগেটে ছাত্রী মেসের কর্মী নুসরাত বেগম বিভিন্ন রকমের ১৫টি টিফিন বক্স কিনেছেন। শেষ দিনে স্পেশাল ছাড় দিয়ে আগের চেয়ে কম দামে দ্রব্য সামগ্রী বিক্রি করেছেন বিক্রেতারা। এ বিষয়ে নবীন ফ্যাশানের জুলফিকার আলী বলেন, ‘আগের বছরের চেয়ে এবার ব্যবসার অবস্থা খুবই খারাপ। ৩ লাখ টাকায় দোকান নিয়েছি, এখনো সে টাকাই ওঠে নাই। আর লাভতো অনেক দূরের কথা।’ একই কথা বলেন হ্যান্ডসাম চয়েস দোকানের মালিক শাহীন মিয়া। মেলা চার দিন বাড়ালেও লাভ উঠেনি বলে জানান এই বিক্রেতা। তাই শেষ দিনে কেনা দাম বাঁচিয়ে দ্রব্য সামগ্রী বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। জানা গেছে, যে ব্লেজারগুলো মেলার অন্য দিনগুলোতে দাম ছিল ১ হাজার ২০০ বা ১ হাজার ৬০০ টাকা, সেগুলো শেষ দিনে ১ হাজার বা ৮০০ টাকায় পাওয়া গেছে। কাশ্মীরি শাল বা মেয়েদের সোয়েটারের দোকানগুলোতেও দেখা গেছে একই অবস্থা। ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার এই ২২তম আসরে মোট বিক্রির দ্বিগুণেরও বেশি স্পট অর্ডার পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন মেলার আয়োজক রপ্তানি উন্নয়ন বুর্যোর ভাইস চেয়ারম্যান বেগম মাফরূহা সুলতানা। এ বছর মেলায় নান্দনিক নির্মাণ শৈলী, সুন্দর প্যাভিলিয়ন ও স্টল নির্মাণের জন্য কয়েক ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন ক্যাটাগরিতে ওয়ালটন হাইটেক প্রথম পুরস্কার অর্জন করেছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর