বুধবার, ১ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা
সংসদে এমপিদের ভাষণ

খালেদা জিয়ার সাজা হলেও বিএনপি নির্বাচনে আসবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারদলীয় সংসদ সদস্যরা বলেছেন, দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা হলেও অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে। একই সঙ্গে তারা মনে করেন নেতারা কয়েকভাবে বিভক্ত হলেও নির্বাচনে আসবেন। কিন্তু দেশের জনগণ আর সন্ত্রাসী দল, জঙ্গিদের দল ও মানুষকে পুড়িয়ে হত্যাকারী দল বিএনপিকে মেনে নেবে না। ব্যালটের মাধ্যমে আবারও প্রত্যাখ্যান করবে।

সংসদে চতুর্দশ ও শীতকালীন অধিবেশনে গতকাল রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এসব মন্তব্য করেন। প্রথমে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও পরে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশ নেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, মীর শওকাত আলী বাদশা, সাবিনা নাহার বেগম, মনোয়ারা বেগম, বেগম আখতার জাহান ও বেগম রহিমা আখতার এবং ওয়ার্কার্স পার্টির ইয়াছিন আলী ও জাসদের মইন উদ্দীন খান বাদল। কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকারের পাঁচ বছর ছিল চরম বিভীষিকাময় অধ্যায়। এরপর নির্বাচন বানচাল করতে আন্দোলনের নামে খালেদা জিয়ার আগুনসন্ত্রাস জনগণ ব্যর্থ করে দিয়েছে। এখন দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার দুষ্কর্মের বিচার চলছে। বিচারে খালেদা জিয়ার ভাগ্যে কী আছে আমরা জানি না। তা আদালত নির্ধারণ করবে। তবে এটা নিশ্চিত খালেদা জিয়ার সাজা হলেই বিএনপি দু-তিন ভাগে বিভক্ত হবে। তাদের সব ভাগই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। তবে তারা জনগণের সমর্থন পাবে না বলে তিনি দাবি করেন। রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, ‘বিএনপি সন্ত্রাসী দল হিসেবে আগেও ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। বিএনপি ভালো করেই জানে নির্বাচনে না গেলে তাদের নিবন্ধন বাতিল হবে। অবশ্যই দলটি নির্বাচনে যাবে, সেভাবেই আমাদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে হবে। আগামী নির্বাচনে আমরা পুনরায় বিজয়ী হতে পারলে বিএনপির অস্তিত্বই হারিয়ে যাবে।’

মইন উদ্দীন খান বাদল বলেন, দেশের মানুষ সচেতন ও সক্রিয় হলে অসাংবিধানিক শাসনের সুযোগ থাকে না। তবে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস ও নাশকতার হোতাদের মুক্ত আকাশে ঘুরতে দেওয়া সুশাসন হতে পারে না। অপরাধ করবেন বিচার হবে না এটা চলতে পারে না। অবশ্যই এদের দমন করে দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, ‘এখনো আমাদের আত্মতুষ্টিতে ভোগার সময় আসেনি। দেশ ধনাঢ্য হচ্ছে, কিন্তু দেশের ১০ ভাগ মানুষের কাছে ৪০ ভাগ সম্পদ চলে যাচ্ছে। এটা একটা বিপজ্জনক পরিস্থিতি। অবশ্যই এ চিত্র পাল্টাতে হবে।’

ইয়াছিন আলী বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে প্রগতিশীল রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে। ধনী ও গরিব এবং গ্রাম ও শহরের মধ্যে সৃষ্ট বৈষম্য দূর করতে আরও সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

সর্বশেষ খবর