বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

জাল দলিলে কল্যাণপুরের ২১তলা ভবন আত্মসাতের চেষ্টা ফাঁস

আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাল দলিলে কল্যাণপুরের ২১তলা ভবনের সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা ফাঁস হয়ে গেছে। পুলিশের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, জালিয়াতির মাধ্যমে ভবনের সম্পত্তির মালিকানা  দাবি করা হয়। আর এই জালিয়াতির আশ্রয় যারা নিয়েছিলেন সেই আবদুল গনি এবং তার বাবা জয়নাল আবেদিনের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। গত মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভবনের সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল, পুলিশের তদন্ত ও আদালতের এই রায়ের মধ্য দিয়ে তার অবসান ঘটল। এই সম্পত্তির মালিকানা থাকল সানমুন গ্রুপের চেয়ারম্যান ও দৈনিক বর্তমান সম্পাদক মিজানুর রহমানের কাছেই। এ ছাড়া অগ্রণী ব্যাংকের বন্ধকী ঋণটিও যে সঠিক ছিল সেটিও প্রমাণিত হলো।

পুলিশ জানিয়েছে, আবদুল গনি এবং তার বাবা জয়নাল আবেদিন জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ২১ তলা ভবনের সম্পত্তির মালিকানা দাবি করে এবং মামলা দায়ের করে। তাদের  মামলার কারণে মিজানুর রহমান কারাগারে ছিলেন। একই কারণে কারাগারে যেতে হয়েছে অগ্রণী ব্যাংকের এমডি, ডিএমডিসহ কয়েকজন কর্মকর্তাকে। কেউ কেউ চাকরিচ্যুতও হন।

জানা গেছে, মিরপুর পাইকপাড়া মৌজার ৩৮৭ দাগের ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ জমিতে ২০ তলা ‘রাজিয়া টাওয়ার’ এবং ২১ তলা সানমুন স্টার প্লাজা নামে দুটি ভবন করেন সম্পত্তির মালিক মিজানুর রহমান। তিনি অগ্রণী ব্যাংক থেকে সম্পত্তি বন্ধক রেখে ঋণও নেন। ভবন নির্মাণের ২৬ বছর পর আকস্মিক সম্পত্তির মালিকানা দাবি করেন আবদুল গনি এবং তার বাবা জয়নাল আবেদিন। তারা মিজানুর রহমান এবং অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের আসামি করে মামলা করেন। পরে বিষয়টি নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডিএমপিকে নির্দেশ দেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করে। বিভিন্ন পর্যায়ে তারা জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে মানিকগঞ্জ হরিরামপুরের এক সময়ের সাব রেজিস্ট্রার সাইফুল ইসলাম ফাঁস করেছেন আবদুল গনি এবং জয়নাল   আবেদিনের জালিয়াতির তথ্য। তিনি পুলিশকে বলেছেন, তারা জাল দলিল তৈরি করে সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করে। এ সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণও পুলিশের কাছে জমা দেন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে জালিয়াতির বিষয়টি উল্লেখ করে বলা হয়, যে মামলাটি করা হয়েছে, তা পুরোপুরি মিথ্যা ও বানোয়াট। জমি আত্মসাৎ করতেই তারা জালিয়াতি করেছে বলে পুলিশি তদন্তে বলা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর