বুধবার, ৮ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে জমজমাট মাদক বাণিজ্য

জড়িত শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে জমজমাট মাদক বাণিজ্য

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মাদকের ভয়াবহতা ব্যাপক হারে বেড়েছে। হাত বাড়ালেই মিলছে মাদকদ্রব্য। বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে গড়ে উঠেছে মাদকের রমরমা বাণিজ্য। এতে ক্যাম্পাসে মাদকাসক্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে স্থানীয়রা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে মাদকের ডিপো বানিয়ে ফেলেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় হাত বাড়ালেই গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইনসহ সব ধরনের মাদকদ্রব্য পাওয়া যাচ্ছে। আর এগুলো ক্যাম্পাসে সরবরাহ করছে স্থানীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শ্রেণির শিক্ষার্থী। এসব মাদকদ্রব্য রাজশাহীর চারঘাট, গোদাগাড়ী ও বাঘা সীমান্ত দিয়ে আসছে। গোয়েন্দা সূত্র বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইবলিশ চত্বর, রবীন্দ্র ভবন ও সিরাজী ভবনের ছাদ, শহীদুল্লাহ কলাভবন, পূর্বপাড়া, হবিবুর হলের মাঠ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের পুকুরপাড়, চারুকলা চত্বর, বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন রেললাইন, স্টেশন বাজার, পুরান ফোকলার মাঠের পাশে নির্মলের দোকান ও স্টেডিয়াম সংলগ্ন কয়েকটি এলাকায় গড়ে উঠেছে মাদক গ্রহণের স্পট। আবার বিভিন্ন আবাসিক   হলের ছাদ এমনকি কক্ষেও চলে মাদক গ্রহণ।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুরে চা বিক্রির সাইনবোর্ডের আড়ালে মাদকদ্রব্য বিক্রির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। শিক্ষার্থীরা চা পানের নামে ওই দোকানে বসে বিশেষ সংকেতের মাধ্যমে মাদকের নাম ও পরিমাণ জানিয়ে টাকা দেন। কিছুক্ষণ পর দোকানি বিশেষ পদ্ধতিতে খদ্দের শিক্ষার্থীর হাতে মাদকদ্রব্য তুলে দেয়।

সূত্র বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী সরাসরি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এরা বাইরে থেকে মাদক কিনে ক্যাম্পাসে বেশি দামে বিক্রি করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রহরী ও কর্মচারীর অনেকেই টাকার লোভে মাদক ব্যবসায়ীদের সহায়তা করছে। মাদক ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত তারা মাদক বিক্রির জন্য এসব কর্মচারী ও প্রহরীকে ব্যবহার করে। শিক্ষার্থীরা এদের কাছ থেকে তা সংগ্রহ করে। এ জন্য প্রতি কর্মচারী ও প্রহরীকে বখশিশ হিসেবে দেওয়া হয় ২০০-৩০০ টাকা। মাদক ও জুয়ার আসর বসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব এবং পশ্চিমপাড়ায় কর্মচারীদের বাসাগুলো ভাড়া দেওয়া হচ্ছে।  সেখানে দিন-রাত চলছে রমরমা আসর। শুধু মাদক বা জুয়া নয়, বাসাগুলো ভাড়া নিয়ে রাতযাপন করছে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক  শিক্ষার্থী নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে এসব বাসা ভাড়া নিয়ে রাত-যাপনের পাশাপাশি মাদক ব্যবসা করছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর