মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

রেলের সেলুন কার ভ্রমণে নিয়ম লঙ্ঘন

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

প্রথম শ্রেণির আন্তনগর ট্রেনে সেলুন সংযোজন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও তা লঙ্ঘন করছে খোদ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি রেলের মহাপরিচালকসহ চার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে চট্টগ্রামে পৌঁছে এ অনিয়ম করেন। আবার পরদিন একই ট্রেনে তারা ঢাকায় ফিরে যান। জানা গেছে, গত ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রামে রেলের চার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনে ভ্রমণ করে চট্টগ্রামে পৌঁছেন। আবার পরদিন মহাপরিচালক বিমান যোগে গেলেও একই ট্রেনে ফিরে যান অন্যরা। ‘ক’ শ্রেণির আন্তনগর ট্রেনে সেলুন কার সংযোজন রেলওয়ে আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। গত ২৫ জানুয়ারি রেলওয়ে মহাপরিচালকের একান্ত সচিব সাদরুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়, ২৭ জানুয়ারি মহাপরিচালক রাত সাড়ে ১১টায় ৭৪২ নম্বর তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাবেন। পরদিন রাত ১১টায় ৭৪১ নম্বর ট্রেন তূর্ণায় ঢাকায় ফিরবেন। মহাপরিচালকের সফর সঙ্গী ছিলেন রেলের আরও তিন কর্মকর্তা। এসব কর্মকর্তাদের পরিবহন করতে কয়েক দিন আগে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় সিই-১৪ নম্বর সেলুন পাঠানো হয়। ঢাকায় মজুদ সিই-১৩ নম্বর সেলুনসহ তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনে সংযুক্ত করে নিয়ম লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে। তবে ফিরতি পথে রেলের মহাপরিচালক সেলুন কারে না গিয়ে বিমান যোগে ঢাকায় ফেরেন। সূত্রমতে, রেলওয়ে আইনের অধীনে তৈরি রেলের আন্তনগর ম্যানুয়েলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও রেলের মহাপরিচালকসহ তিন কর্মকর্তা একই ট্রেনে তিনটি সেলুন যোগে চট্টগ্রামে এসেছেন সচিবসহ পাঁচ কর্মকর্তা। একই ট্রেনে তিনটি সেলুন সংযোজনের কারণে ট্রেনের পাওয়ার কারের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়েছে। বিভিন্ন সময় কৌশলে এভাবে চিহ্নিত কর্মকর্তারা এ ঘটনা ঘটাচ্ছেন। ট্রেনে নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই— জানিয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান বিদ্যুৎ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, তারপরও যদি এমন কোনো ঘটনা ঘটে, তাহলে যাত্রী সেবার মানে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটে। এ বিষয়ে রেলের মহাপরিচালক (ডিজি) আমজাদ হোসেনকে গতকাল একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। তবে রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক সাংবাদিকদের বলেন, রেলের সেলুন কারে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর