শ্রেণিকক্ষের দেয়ালে এসে পড়েছে প্রজেক্টরের আলো। তাতে ভেসে উঠেছে সবুজ মাঠ, বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ও পাঠ্য কবিতার নানা অংশ। মুগ্ধ শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আটকে ছিল কবিতা আর ছবির পাতায়। মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরে এভাবে পাঠদান চলছিল খুলনার শেখপাড়া নজরুল নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রোজিনা বেগম জানান, এতে শিক্ষার্থীরা ভীষণ উচ্ছ্বসিত থাকে, আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে পাঠদান।
তবে খুলনার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র এরকম নয়। গত বছরের শেষ দিকে জেলার ৩৯৭টি বিদ্যালয়ে প্রজেক্টর দেওয়া হলেও ল্যাপটপ না থাকায় অধিকাংশ বিদ্যালয়ের মাল্টিমিডিয়া পাঠদান শুরুই করা যায়নি। ফলে দুইশর বেশি বিদ্যালয়ে প্রজেক্টরসহ উপকরণ রয়েছে বাক্সবন্দী। কোথাও প্রজেক্টর ও স্ক্রিন সাজানো থাকলেও নানা অজুহাত তাতে ক্লাস নেওয়া হয় না। নিম্নমানের হওয়ায় এরই মধ্যে ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর নষ্ট হয়েছে অর্ধশত বিদ্যালয়ে।
মহানগরীর মেহমানে আলিয়া সরকারি প্রাথমিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এস এম শফিউর রহমান জানান, প্রজেক্টর চালানোর জন্য ল্যাপটপ না থাকায় মাল্টিমিডিয়া ক্লাস নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আদর্শ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এলিজা পারভীন জানান, ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর দেওয়া হলেও কিছুদিনের মধ্যে তা নষ্ট হয়ে যায়।