বুধবার, ২২ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

জেলা প্রশাসকের বাসভবন পাখির অভয়াশ্রম হচ্ছে

পাখি রক্ষা ও নিধন বন্ধে এ পদক্ষেপ

মোস্তফা কাজল

৬৪ জেলা প্রশাসকের সরকারি বাসভবনকে পাখির অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বন অধিদফতর একটি প্রস্তাব পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘নানা কারণে আমাদের পাখির সংখ্যা কমছে। শীত মৌসুমে পরিযায়ী পাখির আগমনও কমেছে।’ পাখির ভারসাম্য রক্ষা ও নিধন বন্ধে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে প্রস্তাবিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। দেশে বর্তমানে ৬৭০ প্রজাতির পাখি রয়েছে। এর মধ্যে সাধারণ, আবাসিক, বিপন্ন, অতিবিপন্ন ও পরিযায়ী পাখি রয়েছে। এনসাইক্লোপিডিয়ায় বাংলাদেশে ৬৭০টি পাখির কথা বলা রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটেছে। এ ছাড়া পরীক্ষামূলকভাবে পার্বত্য রাঙামাটি ও নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের বাসভবনে কয়েক শ পাখির অভয়াশ্রম গড়ে ভালো ফল পাওয়া যায়। কিচিরমিচির মিষ্টিমধুর ধ্বনি পাখি অভয়াশ্রম ঘোষণার পথপ্রদর্শক। বন বিভাগ বলছে, ওই দুই জেলা প্রশাসকের বাসভবনে পাখির আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় খুশি বন বিভাগ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জেলা প্রশাসকের ভবনগুলো কয়েক একর জমিতে দাঁড়িয়ে আছে। এসব জমিতে রয়েছে বড় বড় মহামূল্যবান গাছ-গাছালি। এসব গাছ-গাছালিতে পাখির দল নির্ভয়ে অবস্থান নিতে পারে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকের বাসভবনে নিরাপত্তা জোরদার থাকায় অবৈধ শিকারিরা প্রবেশ করতে পারবে না। এ কারণে জেলা প্রশাসকদের সরকারি বাসভবনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। কয়েক দিন আগে অতিবিপন্ন তালিকার হরিয়াল ও শেখ ফরিদ পাখির সন্ধান পাওয়া গেছে। নান্দনিক পাখি হরিয়ালের দেখা মিলছে দেশের বিভিন্ন উদ্ভিদ উদ্যানে। গ্রামাঞ্চলে একটা প্রবাদ আছে— পিঠা খায় মিঠার লোভে। এই নির্ভরশীলতা   প্রকৃতির অবদান। সাধারণ তালিকার টিয়া ও ময়না পাখি অন্তর্ভুক্ত। এ দুই পাখির দেখা এখন তেমন একটা মেলে না। প্রধান কারণ, দেশের বনসম্পদ উজাড় হচ্ছে এবং পাখির চোরা শিকারির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এসব কারণে   প্রকৃতি সংরক্ষণের উপায় বের করতে হবে।

সর্বশেষ খবর