অভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেই বাড়ি ভাড়া নেয় নব্য জেএমবির সদস্যরা। বাড়ি ভাড়া নেওয়ার সময় তারা সিংহভাগ সময়ই নিজেদের পরিচয় দেন কাপড় ব্যবসায়ী হিসেবে। সঙ্গে থাকা অন্য জঙ্গিদের পরিচয় দেন ছোট ভাই। বাসা ভাড়া নেওয়ার সময় সঙ্গে থাকে স্ত্রী ও শিশুসন্তান। বিভিন্ন সময় গ্রেফতার জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং জেএমবি আস্তানা থেকে জব্দ করা নথিতে এমন তথ্য পেয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
কাপড় ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে জঙ্গিদের বাসা ভাড়া নেওয়ার কৌশল প্রসঙ্গে সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, ‘যিনি জঙ্গিদের সংগঠিত করছেন তিনি হয়তো একজন কাপড় ব্যবসায়ী। তিনি এ পরিচয় দেওয়াতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তাই অনুসারীদের বাসা ভাড়া নেওয়ার সময় এ পরিচয় দিতে বলেন।’ সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘মহানগরীর ভাড়াটিয়াদের একটি ডাটাবেজ তৈরি করার প্রক্রিয়া চলছে। ডাটাবেজ তৈরির কাজ শেষ হলে ভাড়া বাসায় জঙ্গি আস্তানা তৈরি করা কঠিন হয়ে যাবে।’ চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিভাগের সব জেলার ভাড়াটিয়ার তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে ভাড়াটিয়াদের তথ্য জানাতে ১১ পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
জঙ্গি অভিযানে অংশগ্রহণ এবং জিজ্ঞাসাবাদে ছিলেন এমন কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয় বাংলাদেশ প্রতিদিনের। তারা প্রত্যেকেই দেন জঙ্গিদের বাসা নেওয়ার অভিন্ন তথ্য। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, জঙ্গিরা বাসা নেওয়ার সময় নিজেদের পাইকারি কাপড় ব্যবসায়ী কিংবা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী পরিচয় দেয়। সঙ্গে থাকা অন্য জঙ্গিদের পরিচয় দেয় ছোট ভাই কিংবা নিকটাত্মীয় হিসেবে। ভাড়া বাসায় ওঠার সময় নিয়ে আসে স্ত্রী ও শিশুসন্তান।