বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

রাজধানীতে ট্রাভেল এজেন্সির মালিকসহ ৯ জন গ্রেফতার

বিদেশে মানব পাচার

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় র‌্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে দুই ট্রাভেল এজেন্সির মালিকসহ আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল র‌্যাবের এক সংবাদ সম্মেলনে এ খবর জানানো হয়েছে।

র‌্যাব জানিয়েছে, এই গ্রেফতারের সময় আসামিদের কবল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে পাচার হতে যাওয়া নয় ভুক্তভোগীকে। একই সঙ্গে উদ্ধার করা হযেছে ১০০টি পাসপোর্ট, ৩২টি জাল ভিসা, আটটি মনিটর, ছয়টি সিপিইউ, পাঁচটি ইউপিএস, চারটি প্রিন্টার, নয়টি কি-বোর্ড, একটি স্ক্যানার, ২৫টি মোবাইল ফোন, ছয়টি সিল মোহর, একটি ফটোকপি মেশিন, ২৮ হাজার ইন্দোনেশিয়ান রিঙ্গিত, ৪২ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত এবং নগদ ৯৪ হাজার টাকা। গত সোমবার থেকে গতকাল পর্যন্ত রাজধানীর বিমানবন্দর, উত্তরা, বাড্ডার সাঁতারকুল ও পল্টনে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেফতার হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন— বাদশা শেখ (৩৮), মো. মামুন (২৪), রিপন হোসেন, নাসির উদ্দিন (৩৭), মনিরুজ্জামান (৩৬), সজল কুমার বাইন (৩৫), মো. নাসির উদ্দিন (৫৩), আহসানুজ্জামান ওরফে সোহাগ (২৮) ও মো. রাজিব (৩২)।

গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা মানব পাচারের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। চক্রের মূল হোতা আবদুল হালিম ওরফে হালিম মামা মালয়েশিয়ায় অবস্থান করে গ্রেফতার হওয়া বাদশা শেখ, মো. রিপন ও মামুন হোসেন ওরফে ভাগ্নে মামুনের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় ও স্বল্প আয়ের মানুষদের প্রলোভন দেখিয়ে আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্রের মাধ্যমে বিদেশে পাঠানোর নামে মানব পাচার করছেন। বিভিন্ন সময় পাচার চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, অনেক সময় মামলার ফাঁকফোকর দিয়ে তারা বেরিয়ে যাচ্ছে। র‌্যাবের অভিযানে প্রতারক চক্রের সঙ্গে জড়িত দুটি ট্রাভেল এজেন্সি সন্ধান পাওয়া গেছে জানিয়ে তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, এগুলো হচ্ছে ‘গো ইজি’ এবং ‘সান ওয়ে’ ট্রাভেলস। ‘গো ইজি’র অফিস গুলশান ও আর পল্টনের ‘সান ওয়ে’।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর