সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

দুর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহ উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতিই জঙ্গিবাদসহ সব অপরাধের জন্ম দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ‘দুর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহ-২০১৭’ উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। দুর্নীতি হলে শেষ, নিজে বাঁচব, বাঁচবে দেশ’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে এবারের দুর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহ। এ সময় দুদক কমিশনার ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ, এএফএম আমিনুল ইসলাম, সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল, মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) ড. মো. শামসুল আরেফিন, মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান, মহাপরিচালক (তদন্ত) ফরিদ আহমদ ভূঁইয়া, মহাপরিচালক (লিগ্যাল)   মো. মঈদুল ইসলাম, মহাপরিচালক (মানিলন্ডারিং) মো. আতিকুর রহমান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রতিরোধ সপ্তাহের মধ্যে আজ সকাল ১০টায় রয়েছে সততা সংঘের সমাবেশ। কাল একই সময়ে দুদকের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দুর্নীতিবিরোধী মানববন্ধন। ২৯ মার্চ সকাল ১০টায় শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শ্রেষ্ঠ দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের পুরস্কার প্রদান। ৩০ মার্চ সকাল ১০টায় প্রধান কার্যালয়ে সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম কর্মী, সরকারি কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও উন্নয়ন কর্মীদের সঙ্গে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সমন্বিত প্রয়াস শীর্ষক সেমিনার। দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, সাধারণভাবে ধরেই নেওয়া যায় দুর্নীতিই জঙ্গিবাদসহ সব অপরাধের জন্ম দিচ্ছে।

তাই আমাদের সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে এবং তাদের মূল্যবোধকে জাগিয়ে তুলতে পারলে জঙ্গিবাদসহ অনেক অপরাধ সহজেই নির্মূল করা সম্ভব। দুর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহের উদ্দেশ্য হলো— দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সচেতন করে দুর্নীতি প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা। গতকাল দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা, নগর ও মহানগরে শুরু হওয়া দুর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহের কর্মসূচি চলবে আগামী ১ এপ্রিল পর্যন্ত। মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা রাজনৈতিক মুক্তি তথা স্বাধীনতা, ভূখণ্ড, পতাকা পেলেও অর্থনৈতিক মুক্তি পুরোপুরি পাইনি। এ অর্থনৈতিক মুক্তির প্রধান অন্তরায় হচ্ছে দুর্নীতি। তাই সম্মিলিতভাবেই  দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। দুদক  চেয়ারম্যান বলেন, ক্ষমতা কিংবা বিত্ত-বৈভবের জোরে কেউ ছাড় পাবে না। বেসিক ব্যাংকের দুর্নীতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ৫৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রতিটি মামলাই জটিল। দুর্নীতির এ অর্থ ধারাবাহিকভাবে লেয়ারিং হয়েছে। তাই প্রতিটি লেয়ারে সম্পূর্ণ এবং বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে তদন্ত করতে হচ্ছে। আমরা এমনভাবে তদন্ত সম্পন্ন করতে চাই, যেন প্রকৃত অপরাধীরা শাস্তি পায়। এ ছাড়া ব্যাংকিং ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইন ও বিধি-বিধান অনুসরণ করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করলে জঙ্গি অর্থায়নসহ মানিলন্ডারিং অবশ্যই হ্রাস পাবে।

সর্বশেষ খবর