শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

২০৩০ এর আগেই এসডিজি অর্জন

আন্তমন্ত্রণালয় সমন্বয় বড় চ্যালেঞ্জ

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ২০৩০ সালের আগেই বাংলাদেশ এসডিজি অর্জনে সক্ষম হবে। তবে এ ক্ষেত্রে আন্তমন্ত্রণালয় সমন্বয় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেবে। এ জন্য জেলা পরিষদগুলোকে কাজে লাগানো যেতে পারে। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার হতে পারে ৪ লাখ ১৫ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকার। তিনি বলেন, দুই বছর পর দেশে বিড়ির কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। মানুষ এখন অনেক সচেতন। বিড়ির অপকারিতা সম্পর্কে সবার মধ্যে সচেতনতা দিন দিন বাড়ছে। ফলে ধূমপায়ীরা বিড়ি ছেড়ে দিচ্ছেন।

মুহিত বলেন, আসছে বাজেটে (২০১৭-১৮) সরকারি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি পাঁচগুণ বাড়ানো হবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, যেসব সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন ও টিউশন ফি ১২ থেকে ২০ টাকার মধ্যে, সেগুলো বাড়িয়ে আগামী বাজেটে পাঁচগুণ করা হবে। বেতন ও টিউশন ফিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খরচ বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আলোচনা সভায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) শীর্ষ কর্মকর্তারা বাজেট বিষয়ে বিভিন্ন দাবি ও পরামর্শ তুলে ধরেন। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে (এসডিজি) সামনে রেখে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের আহ্বান জানান তারা। এ জন্য তারা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানি, স্যানিটেশন, পরিবেশ, অবহেলিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী ইত্যাদি খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানান। সভায় ৩৭টি এনজিওর প্রধান কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি অংশ নেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর বেতন ও টিউশন ফি ১২ থেকে ১৬ টাকা। হোস্টেল ফিও অনেক কম। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বেতন ও আবাসিক হলের চার্জও দীর্ঘদিন ধরে অনেক কম। অথচ একই সময়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন টিউশন ফি অনেক বেশি। তাই যৌক্তিকভাবে এগুলো বাড়ানো উচিত।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর