রবিবার, ২ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

চোখ ধাঁধানো রাতের হাতিরঝিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

চোখ ধাঁধানো রাতের হাতিরঝিল

রংবেরঙের আলোর সঙ্গে পানির ফোয়ারা। রাতের চোখ ধাঁধানো হাতিরঝিল এখন নগরবাসীর স্বস্তির জায়গা — রোহেত রাজীব

ধীরে ধীরে হাতিরঝিল রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠেছে। এখন এ ঝিলের রূপ চোখ ধাঁধানো। ব্যস্ত নগরীতে হাফ ছেড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে অবকাশের টানে সেখানে ছুটে যাচ্ছেন বিনোদনপ্রেমীরা। হাতিরঝিলে আলোকসজ্জার নতুন সংযোজন আরও বেশি আকর্ষণ বাড়িয়েছে। রংবেরঙের এ আলোর সঙ্গে আছে পানির ফোয়ারা। সঙ্গে আছে মিউজিকের তাল। যার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নাচতে থাকে ফোয়ারাগুলো। তখন অনেকটা শিল্পীর রংতুলিতে আঁকা ছবির মতোই অপরূপ দৃশ্য তৈরি হচ্ছে। যা দেখে রূপকথার রাজ্যে হারিয়ে যাচ্ছেন প্রেমিক-প্রেমিকারা। ইট-কাঠ-পাথরের এই শহরে গাড়ির যানজটে প্রতিদিনের ব্যস্ততায় জীবন যখন অসহ্য হয়ে ওঠে, তখন সেই ক্লান্তি ও কষ্ট কমাতে অনেকেই হাতিরঝিলে ঘুরতে ছুটির দিনকে বেছে নিচ্ছেন বেশি। নতুন যোগ হওয়া আলো-তালের খেলার চমৎকার বর্ণিল সমারোহ দেখতে সেখানে বিকাল থেকেই ভিড় জমাচ্ছেন নানা বয়সী, শ্রেণি-পেশার মানুষ। হাতিরঝিলে পানির ফোয়ারায় গান-নাচ শুরু হয় সন্ধ্যা ৭টায়। একটানা চলে ১৫ মিনিট। ৫ মিনিটের বিরতিতে তা দর্শকদের আনন্দ দেয় রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। এ আনন্দ-সুখ অনুভূতির জন্য তরুণ-তরুণীদের ভিড় থাকে বেশি। এ ছাড়া এই বিনোদনের স্থানটিতে সুবিন্যস্ত ও আলোকোজ্জ্বল সড়ক ও মুক্ত হাওয়ার ছড়াছড়ি আগে থেকেই রয়েছে। সব মিলিয়ে ভিন্নধর্মী অবকাঠামোগত আয়োজনের জন্য একমাত্র আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হতে চলেছে হাতিরঝিল। এখানে নতুন যোগ হয়েছে ওয়াটার ট্যাক্সি। ৮০ হর্স পাওয়ার ইঞ্জিনের বোটগুলো চলার সময় পানির ঢেউয়ে ভিজিয়ে দেয় দুই পাড়। ঝিলের দুই পাড় হলো মূল সড়ক। প্রতিদিন শত শত গাড়ি এ রাস্তায় চলাচল করে। গণপরিবহন হিসেবে এক বছর আগে হাতিরঝিলে চক্রাকার বাস সার্ভিস চালু করা হয়। তবে সাম্প্রতিক রাতে বিভিন্ন মালবাহী ট্রাকের প্রবেশে তার নান্দনিক সোন্দর্য হারানোর আশঙ্কা করছেন অনেকেই।  

সর্বশেষ খবর