বুধবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

ঢাকায় বন্ধ হচ্ছে সিটিং সার্ভিস

১৫ এপ্রিলের পর রুটপারমিট অনুযায়ী চলবে গণপরিবহন

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে আগামী ১৫ এপ্রিলের পর সিটিং, গেটলক কিংবা স্পেশাল সার্ভিস নামে কোনো বাস চলতে পারবে না বলে জানিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। প্রতিটি বাসকে রুটপারমিট অনুযায়ী চলতে হবে।

গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিভিন্ন রুটের পরিবহন মালিক ও পরিবহন কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, রাজধানীর প্রায় ৯০ শতাংশ পরিবহন মালিক এবং শহর ও শহরতলি রুটের শ্রমিক কমিটির নেতারা সভায় উপস্থিত ছিলেন। সিটিং সার্ভিসের নামে যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। এটা চলতে পারে না। অপ্রতুল গণপরিবহনব্যবস্থার মধ্যে সিটিং সার্ভিস নামের যন্ত্রণা নগরবাসীকে ভোগাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। বিভিন্ন সময়ে সরকারের মন্ত্রীরাও এর বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন, কিন্তু কাজ হয়নি।

দেখা যায়, গায়ে ‘সিটিং সার্ভিস’ লেখা থাকলেও অধিকাংশ বাসেই আসনের অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। নিয়ম থাকলেও যাত্রীদের টিকিট দেওয়া হয় না; আদায় করা হয় বাড়তি ভাড়া। এ নিয়ে যাত্রীদের বাজে আচরণেরও মুখোমুখি হতে হয় অনেক সময়। রাজধানীর গণপরিবহনব্যবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে চলা অনিয়ম বন্ধে এবার উদ্যোগী হয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান এনায়েত উল্লাহ। তিনি বলেন, রুটপারমিটে সিটিং সার্ভিস বলে কোনো শব্দ নেই। দেখা গেছে, অফিস আওয়ারে হাজার হাজার যাত্রী রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু গাড়ি সিটিং বলে চলে যাচ্ছে, যাত্রীরা যেতে পারছে না। সিটিংয়ের নামে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার সময় পুরো পথের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে আবার রাস্তা থেকে যাত্রীও তোলা হচ্ছে। এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে কিনা তা দেখতে সমিতির কয়েকটি দল রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে কাজ করবে বলে জানান তিনি।

মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জানান, যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করা, সরকার নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী ভাড়া আদায়, প্রতিটি গাড়িতে ভাড়ার তালিকা টাঙানো এবং গাড়ির ছাদ থেকে ক্যারিয়ার, সাইড অ্যাঙ্গেল ও অতিরিক্ত সিট খুলে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়। এসব বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন হয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি গণপরিবহন শৃঙ্খলা আনার। বিআরটিএ, পুলিশ অভিযান চালিয়েছে বিভিন্ন সময়। আমরাও বিভিন্ন সময়ে মালিকদের বলেছি নিয়ম মেনে চলার জন্য। কেউ আমাদের কথা শুনেছে, কেউ শোনেনি। তাই আজ সবাই মিলেই এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সিদ্ধান্তগুলোর বেশির ভাগই রুটপারমিটের শর্ত। এসব নিয়ম না মানলে আঞ্চলিক পরিবহন কমিটি রুটপারমিট বাতিল করে দিতে পারে। তিনি বলেন, ওভাবে রুটপারমিট বাতিল করতে গেলে রাস্তায় নগর পরিবহনের গাড়িই থাকবে না।

সর্বশেষ খবর