বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

পয়লা বৈশাখ সামনে রেখে ইলিশের দামে আগুন

বরিশালের মোকামে সরবরাহ কম

রাহাত খান, বরিশাল

বরিশালে ইলিশের আকাল। যে পরিমাণ ইলিশ মোকামে আসছে, তার চেয়ে চাহিদা অনেক বেশি। তাই দামও আকাশচুম্বী। কিন্তু রসনা বিলাসীরা পয়লা বৈশাখ সামনে রেখে দামের দিকে তাকাচ্ছেন না। এ অবস্থায় দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বরিশালের মিঠা পানির নদী থেকে আহরিত ইলিশের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। অভ্যন্তরীণ নদী ছাড়াও সমুদ্রে আহরিত ইলিশ আসে বরিশালের মোকামে। তবে ভরা মৌসুম না হওয়ায় তেমন ইলিশ আসছে না। যাও আসছে— সেগুলো পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২৫ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা মণ দরে। এসব ইলিশ স্থানীয় বাজারে বিক্রির পাশাপাশি যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।

নগরীর পোর্ট রোডের পাইকারি ইলিশ ব্যবসায়ী মো. নাসির উদ্দিন জানান, বার্মিজ (মিয়ানমার) ইলিশে সয়লাব দেশের বাজার। বার্মিজ ইলিশের আধিক্যের কারণে এবার দেশি ইলিশের দামও তুলনামূলক কম। বরিশালের মোকামের চেয়েও ঢাকার বাজারে ইলিশ সস্তা বলে তিনি জানান।

অমল বিশ্বাস নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, নদীতে তেমন ইলিশ ধরা পড়ছে না। সরবরাহ কম থাকায় বরিশালের বাজারে ইলিশের দাম বেশি। আবদুল হালিম সিকদার নামে এক আড়তদার জানান, বরিশালের মোকামে মঙ্গলবার প্রতিটি দেড় কেজির বেশি ওজনের প্রতি মণ ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকায়। আর কেজি ওজনের প্রতি মণ বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। এলসি সাইজের ৫০ থেকে ৫৫ হাজার এবং ৫০০ গ্রাম সাইজের প্রতি মণ ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকায়। বরিশাল জেলা মৎস্য অফিসের ইলিশ কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র দাশ জানান, এখন ইলিশের প্রকৃত মৌসুম নয়। পয়লা নভেম্বর থেকে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা শিকার নিষিদ্ধ। এ ছাড়া বিভাগের তিনটি ইলিশ অভয়াশ্রমের মধ্যে আন্দারমানিক নদীতে নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত তিন মাস, ভোলার ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালীর চররুস্তুম এবং ভোলার চর ইলিশা থেকে চর পিয়াল পর্যন্ত অভয়াশ্রমে মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা চলছে। এ কারণে বাজারে ইলিশের সরবরাহ কম। আগামী কয়েকদিনে ইলিশের দাম আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা তার।

সর্বশেষ খবর