রবিবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

দেশে উন্মুক্ত হচ্ছে সোনা আমদানির পথ

পাচার ঠেকাতে এ উদ্যোগ

রুহুল আমিন রাসেল

এবার সোনা আমদানির পথ উন্মুক্ত করতে যাচ্ছে সরকার। সোনা চোরাচালান ও পাচার ঠেকাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এজন্য সংশ্লিষ্টদের নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড—এনবিআরকে নির্দেশ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি—বাজুস সম্প্রতি অর্থমন্ত্রীর কাছে এক পত্রে তিনটি প্রস্তাব দিয়েছে। এই তিন প্রস্তাব হলো : শুল্ক ও কর প্রদানসাপেক্ষে এবং ব্যাংকিং জটিলতা ছাড়া কমপক্ষে ১০ কেজি সোনার বার বা পিণ্ড আমদানি ও রপ্তানি সহজীকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হোক। ঋণপত্র বা এলসিতে সোনা আমদানি সহজীকরণের মাধ্যমে চোরাচালান বন্ধ এবং শুল্ককর আদায় নিশ্চিত করা হোক। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উন্নয়ন ও রপ্তানিমুখী এ খাত রক্ষায় জুয়েলারি শিল্প স্থাপন সহজীকরণ ও সহায়তা প্রদান করা হোক।

জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাজুসের এই তিন প্রস্তাবকে খুবই সময়োপযোগী বলে এক পত্রে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি সম্প্রতি এনবিআরকে দেওয়া নির্দেশপত্রে বলেছেন, ‘সোনা বাস্তবে নানাভাবে বাংলাদেশে আসে এবং ব্যাপকভাবে তা ভারতে পাচার হয়। এ ব্যবস্থা থেকে আমরা পরিত্রাণ পেতে চাই। বাস্তবতা স্বীকার করে আমরা সোনা আমদানিকে আইনি স্বীকৃতি দেব। এ বিষয়টি নিয়ে আমি সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি খোলাখুলি আলোচনা চাই। এর আগে বাজুস সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগারওয়ালা স্বাক্ষরিত জুয়েলারি শিল্প-সংক্রান্ত ওই প্রস্তাবে বলা হয়, কমপক্ষে ১০ কেজি সোনার আমদানি ও রপ্তানি সহজ করা হোক। জুয়েলারি তৈরির প্রধান কাঁচামাল সোনা। ব্যাংকিং জটিলতার কারণে এত দিন ব্যবসায়ী পর্যায়ে সোনা আমদানি সম্ভব হয়নি। ব্যবসায়ী পর্যায়ে সোনা আমদানিতে উচ্চ হারে শুল্ককর আরোপের ফলে সরকার যেমন বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনি এ খাতের ওপর পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব। উচ্চহারে শুল্ককরের কারণে সোনা চোরাচালান ব্যাপকভাবে বেড়েছে। কিন্তু সব ব্যাংকিং জটিলতা নিরসন করে সোনা আমদানির সুযোগ দেওয়া হলে বাংলাদেশ থেকে জুয়েলারি পণ্য রপ্তানির দ্বার উন্মোচিত হবে। ক্রেতারা আন্তর্জাতিক বাজারমূল্যে জুয়েলারি কিনতে পারবেন। অবৈধ ব্যবসাও বন্ধ হবে। প্রস্তাবে বলা হয়, ঋণপত্র বা এলসিতে সোনা আমদানি সহজীকরণের মাধ্যমে চোরাচালান বন্ধ করা হলে সরকারের রাজস্ব আদায় নিশ্চিত হবে।

সর্বশেষ খবর