সোমবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

মংলা বন্দরে আমদানিকৃত গাড়ি খালাসে জটিলতা, ভোগান্তি

চুরি হচ্ছে ফগ লাইটের কভার, লুকিং গ্লাস

বাগেরহাট প্রতিনিধি

মংলা বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত রিকন্ডিশন্ড গাড়ি খালাসে নানা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হচ্ছে। পাশাপাশি বন্দরের দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মাঝেমধ্যেই যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনা ঘটছে। এদিকে মংলা কাস্টম হাউসের প্রধান অফিস বন্দর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে খুলনার খালিশপুরে হওয়ায় দেখা দিয়েছে জটিলতা। সেখান থেকে ক্লিয়ারিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বন্দর থেকে গাড়ি ডেলিভারি নিতে ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত সময় যাচ্ছে। সন্ধ্যায় ডেলিভারি হওয়া গাড়িগুলো ঢাকা ও চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া ব্যবসায়ীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

বন্দর ট্রাফিক বিভাগ জানায়, বর্তমানে মংলা বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে ৪ হাজার ২৬২টি গাড়ি। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, বন্দর ইয়ার্ডে অপর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে গাড়ির ভিতরের মূল্যবান যন্ত্রাংশ মাঝেমধ্যে চুরি হয়ে যাচ্ছে। আমদানি করা গাড়ির ব্র্যান্ড লোগো, ফগ লাইটের কভার, লুকিং গ্লাসের যন্ত্রাংশ, এসির যন্ত্রাংশ, সাউন্ড সিস্টেমের এসডি কার্ডসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ চুরি হচ্ছে।

গাড়ি আমদানিকারী ক্যাপ্টেন রফিক বলেন, মংলা বন্দরের ইয়ার্ড থেকে প্রতিনিয়ত গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরি হচ্ছে। নিরাপত্তার অভাবে বিভিন্নভাবে গাড়ির ক্ষতি হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীদের গাড়ি প্রতি ২০ থেকে ৭০ হাজার টাকা গচ্চা যাচ্ছে। অন্যদিকে খুলনা শহর থেকে ব্যাংকিং কার্যক্রম শেষ করে বন্দরে গিয়ে গাড়ি ডেলিভারি নিতে সারা দিন চলে যায়। এজন্য মংলার ব্যাংকগুলোতে অনলাইন ব্যাংকিং চালু করাসহ কাস্টমসের অফিস মংলা বন্দরে নেওয়া উচিত।

গাড়ি আমদানিকারকদের সংগঠন বারভিডার সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, মংলা বন্দর ইয়ার্ডে আমদানিকৃত গাড়িগুলো বিশৃঙ্খলভাবে রাখায় গাড়ির রং নষ্ট হচ্ছে ও স্ক্র্যাচ পড়ছে। সন্ধ্যায় ডেলিভারি নেওয়া গাড়ি ঢাকা ও চট্টগ্রামে নিতে গেলেও ব্যবসায়ীদের ঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে। রাস্তায় পুলিশসহ শ্রমিক সংগঠনগুলোর চাঁদাবাজি তো রয়েছেই। মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উচিত অবিলম্বে ‘কার কেরিয়ার’ চালু করা।

বন্দরের চেয়ারম্যান কমডোর একেএম ফারুক হাসান বলেন, মৃতপ্রায় মংলা বন্দরকে বাঁচিয়ে তুলতে বারভিডার অবদান সবচেয়ে বেশি। ২০০৯ সাল থেকে মংলা পোর্টটি পুনরায় চাঙ্গা হয়েছে। বারভিডার নেতারা তাদের সমস্যাগুলো জানিয়েছেন। আমদানিকৃত গাড়িগুলো দ্রুত খালাসের বিষয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। বন্দর ইয়ার্ডের নিরাপত্তা ও গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাহাজ থেকে গাড়ি নামানোর সময় নজরদারি বাড়ানো হবে। বন্দরে ৩০টি সিসিটিভি স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। বন্দর চেয়ারম্যান আরও বলেন, মংলা বন্দরে আরও প্রায় তিন হাজার জনবল প্রয়োজন। কিন্তু রয়েছে মাত্র ১ হাজার ২০০ জন।

 

 

০২.

১০৪টি ইউনিট কমিটি করবে নগর আওয়ামী লীগ

রাহাত খান, বরিশাল

নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে সফল কর্মিসভা শেষে এবার ইউনিট কমিটি করতে যাচ্ছে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ। নগরীর আওতাভুক্ত ১০৪টি ভোটকেন্দ্র ভিত্তিক ‘ইউনিট’ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে তারা। এই কমিটির নেতারা আগামীতে যে কোনো নির্বাচনে নিজ নিজ কেন্দ্রে ভোট পরিচালনা এবং কেন্দ্রের অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া নগরীর কয়েকটি নিষ্ক্রিয় ওয়ার্ড কমিটি হালনাগাদ ও টানা দুই মেয়াদে বরিশালসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি লিফলেট আকারে প্রকাশের কথা জানিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। শনিবার রাতে নগরীর কালীবাড়ি রোডের সমাজসেবা অধিদফতর মিলনায়তনে মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলালের সভাপতিত্বে সভায় অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস এমপি ও সদর আসনের এমপি জেবুন্নেছা আফরোজ। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এ কে এম জাহাঙ্গীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর আসনের এমপি অ্যাডভোকেট শওকত হোসেন হিরণের মৃত্যুর পর অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়েন নেতা-কর্মীরা।    যোগ্য নেতৃত্ব না পাওয়ায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন হিরণ অনুসারী শত শত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী।

হিরণের হাত ধরে অনন্য উচ্চতায় ওঠা মহানগর আওয়ামী লীগ পরিণত হয় কাগুজে সংগঠনে। যদিও তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজালুল করিম চেষ্টা করেছিলেন নেতা-কর্মীদের আগলে রাখতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শেষরক্ষা হয়নি।

সর্বশেষ খবর