আসছে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হতে পারে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। এদিকে আগামী বাজেটে মূল্যস্ফীতির হার ধরা হতে পারে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ; যা ২০১৬-১৭ অর্থবছরও বিদ্যমান রয়েছে। আর বাজেটের মোট আকার ধরা হতে পারে ৩ লাখ ৯০ হাজার ৭৭১ কোটি টাকা। চলতি বাজেটের আকার ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। তবে শেষ মুহূর্তে এসে এ আকার কমবেশি হতে পারে। অর্থ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এসব বিষয়ে আলোচনার জন্য গতকাল সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং আর্থিক মুদ্রা ও মুদ্রার বিনিময় হারসংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কিন্তু অর্থমন্ত্রীর অসুস্থতার কারণে হঠাৎ করেই তা বাতিল করা হয়। আগামী সপ্তাহের যে কোনো দিন বৈঠকটি হবে বলে জানিয়েছে অর্থ বিভাগ। এ-সংক্রান্ত একটি কার্যপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি বাজেটের তুলনায় আগামী বাজেটের আকার বাড়বে ১৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ। আগামী বাজেটে উন্নয়ন বাজেটের আকার হতে পারে ১ লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা। সূত্র জানায়, এবারের বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানব উন্নয়ন, বিদ্যুৎ-জ্বালানি, অবকাঠামো এবং সাইবার নিরাপত্তা খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হতে হবে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ইতিমধ্যে জানিয়েছেন চলতি বাজেট হবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের প্রথম ধাপ। এজন্য ত্রিবার্ষিক বাজেট পরিকল্পনা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এদিকে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের পরামর্শ অনুযায়ী আগামী বাজেটে ভর্তুকি কমিয়ে আনার কথা ভাবছে সরকার। অবশ্য চলতি বাজেটেও আগের তুলনায় ভর্তুকি কমানো হয়েছে। আগামী বছর থেকে কৃষি খাত বাদে অন্যসব খাত থেকে ভর্তুকি তুলে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ। এ ছাড়া কৃষি খাতে সরাসরি অর্থ ভর্তুকি না দিয়ে ভর্তুকি মূল্যে কৃষি সরঞ্জাম সরবরাহের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, ব্যাংকিং খাতের ভর্তুকি পুরোপুরি তুলে নিতে বলা হয়েছে। আইএমএফ বলছে, করের টাকা দিয়ে প্রতি বছর ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি পূরণের অর্থ দেওয়াটা অযৌক্তিক। এতে যেমন সরকারি অর্থের অপচয় ঘটে, তেমনি ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি উৎসাহিত হয়; যা এ খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার অন্তরায়।
