রবিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

ছাত্রলীগ নেতা রবিউল হত্যার অগ্রগতি নেই চার বছরেও

মর্তুজা নুর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

ছাত্রলীগ নেতা রবিউল হত্যার অগ্রগতি নেই চার বছরেও

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা রবিউল হত্যার মামলার তদন্তের দায়িত্ব গত চার বছরে দেওয়া হয়েছে ছয় তদন্ত কর্মকর্তাকে। তবুও মামলার দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। একের পর এক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হওয়ায় নতুন করে মামলার সাক্ষীদের তলব করা হচ্ছে। অথচ জড়িতদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে পারছে না পুলিশ। এমন পরিস্থিতিতে আসামিদের শাস্তির দাবিতে নতুন করে আন্দোলনে করছে রবিউলের পরিবার ও এলাকাবাসী।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা এলাকায় শিবির, ছাত্রদল ও যুবদলের ক্যাডারদের প্রকাশ্য হামলায় খুন হন রবিউল ইসলাম। পরদিন রবিউলের বড় ভাই বিশ্ববিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী মেহেরচণ্ডী এলাকার জামাত-শিবির, ছাত্রদল ও যুবদলের ১২ জন ও অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামি করে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।

ঘটনার চার বছর পরও একের পর এক তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন ও জড়িতদের শাস্তি না হওয়ায় গতকাল বিকালে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে রবিউলের পরিবার ও মহানগর ২৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন স্টেশন বাজারে ওই সমাবেশে বক্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত তা স্পষ্ট। তবুও একের পর তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হচ্ছে। নতুন করে সাক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু জড়িতদের শাস্তি হচ্ছে না।

জানা যায়, এই হত্যা মামলার তদন্ত দায়িত্ব মোট ছয়বার হাত বদলেছে। প্রথম দায়িত্বভার পড়ে পুলিশ কর্মকর্তা এস আই হাফিজ উদ্দিনের উপরে। পরবর্তীতে ওমর শরীফের হাতে মামলার দায়িত্বভার পড়ে। কিছুটা উন্নতি পেয়ে ঘটনার এক বছর পর ২০১৪ সালের ৫ মে তিনি অভিযোগপত্র জমা দেন। তবে অভিযোগপত্র দাখিল হলেও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার জন আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ওই অভিযোগপত্রে চার জনকে অব্যাহতি দেওয়ায় নারাজি থেকে পুনরায় তদন্তের জন্য আবেদন করে রবিউলের পরিবার। পরে তদারকির জন্য মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। সেখানে তদন্ত দায়িত্ব নিত্যপদ দাস থেকে আশিকুজ্জামান থেকে রেজাউস সাদিকের কাছে মামলাটি হাত বদল হয়। গত মাসে চার্জশিট জমা দেওয়ার কথা থাকলেও হঠাৎ করেই কিছুদিন আগে মামলার দায়িত্বভার রাশেদুল ইসলামের কাছে চলে যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর