মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

পরিচ্ছন্নতাকর্মী সেজে ছিনতাই

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

পরিচ্ছন্নতাকর্মী সেজে ছিনতাই

পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে রাতে ও ভোরে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পোশাক গায়ে দিয়ে থাকত তারা। পুলিশ দেখলেই ব্যস্ত হয়ে পড়ত ঝাড়ু নিয়ে। পুলিশ চলে গেলে শুরু হতো ‘অপারেশন’। রিকশা থামিয়ে ছুরিকাঘাত করে সর্বস্ব ছিনিয়ে নিত যাত্রীর। গত ১২ এপ্রিল ভোরে তাদের ছুরিকাঘাতে নগরীর জিন্দাবাজারে খুন হয়েছিল এক যুবক। এ ঘটনার পর ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা দেখে পুলিশ চিহ্নিত করে তিন ছিনতাইকারীকে। গতকাল তাদের গ্রেফতারের পর বের হয়ে আসে তাদের ছদ্মবেশে ছিনতাইয়ের কৌশলটি। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া ছদ্মবেশী ছিনতাইকারীরা হলো সিলেট নগরীর খাসদবীর মসজিদ গলির নূরুল হকের ছেলে সুমন মিয়া ওরফে মানিক (২১), হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দত্তগ্রামের আমির উদ্দিনের ছেলে জমির উদ্দিন (১৯) ও সুনামগঞ্জের হাছননগরের মাহমুদ আলীর ছেলে হাসান আলী (২০)।

গ্রেফতারের পর তিন ছিনতাইকারী জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায়, রাত ১২টার পর সিসিকের পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পোশাক সঙ্গে নিয়ে তারা রাস্তায় নামত। পুলিশের গাড়ি আসতে দেখলেই তারা পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পোশাক গায়ে জড়িয়ে থাকত। আর পুলিশ চলে গেলেই পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পোশাক খুলে করত ছিনতাই।

কুয়েত যাওয়ার জন্য মেডিকেল চেকআপ করাতে গত ১২ এপ্রিল রাতে সিলেট আসেন নীলফামারী জেলার জনৈক আসাদুজ্জামান রিপন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী হাছনা বেগম। কদমতলী টার্মিনালে বাস থেকে নেমে অটোরিকশা যোগে হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজারে আসছিলেন তারা। জিন্দাবাজার আসার পর ছিনতাইকারীরা অটোরিকশার গতিরোধ করে রিপনের কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে তার স্ত্রীর সঙ্গে থাকা ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে চাইলে তিনি বাধা দেন। এ সময় ছিনতাইকারীরা তার বুকে ছুরিকাঘাত করলে তিনি মারা যান।

এ ঘটনার পর সিলেট কোতোয়ালি থানার সহকারী কমিশনার সাদেক কাউসার দস্তগীরের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ঘাতক ওই তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে। এর আগে  ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা দেখে তিন খুনি ছিনতাইকারীকে চিহ্নিত করে পুলিশ।

সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি গৌছুল হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃতরা কৌশলী ছিনতাইকারী। রিপন হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর