শিরোনাম
বুধবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

আজও কাঁদে তারাপুর

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

‘১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল। প্রতিদিনের মতো কাজে বের হন তারাপুর চা বাগানের শ্রমিক পূরণ কড়ামোদি। বেলা ১১টার দিকে খবর আসে বাগানের বাংলোয় পাকবাহিনী এসেছে। কারফিউর মধ্যে বাগানে কাজ করতে হলে লাগবে পরিচয়পত্র। পরিচয়পত্রের জন্য ছবি তুলে দেবে পাক আর্মি। এ জন্য বাগানের মালিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের যেতে হবে মালনীছড়া বাগানে। এমন খবর পেয়ে পূরণ কড়ামোদি যান তারাপুর বাগানের বাংলোয়। ছবি তোলার জন্য সেখান থেকে মালিক ও অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে রওনা হন মালনীছড়া চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপকের বাংলোর উদ্দেশে। এরপর পূরণ কড়ামোদি আর ফেরেননি। ফেরেননি তার সঙ্গে যাওয়া ৩৯ জনের কেউই। ক্যামেরার ফ্ল্যাশের বদলে পাক হায়েনাদের বুলেট কেড়ে নেয় তাদের প্রাণ।’ গতকাল তারাপুর চা বাগানে গণহত্যা দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসে বাবা হারানোর এমন বর্ণনা দেন পূরণ কড়ামোদির মেয়ে যমুনা ও গৌরী কড়ামোদি।  ১৯৭১ সালে বাগানটির মালিক ছিলেন রাজেন্দ্র লাল গুপ্ত। পাক হানাদারদের হাতে প্রাণ দিয়েছেন তিনিসহ তার পরিবারের ৫ জন। পরিবারের পুরুষ সদস্যের মধ্যে ওই সময় ভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছিলেন রাজেন্দ্রের কলেজপড়ুয়া ছেলে পঙ্কজ গুপ্ত। দীর্ঘদিন হাতছাড়া থাকার পর গত বছরের শেষের দিকে তিনি দায়িত্ব বুঝে পেয়েছেন তারাপুর চা বাগানের।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর