চামড়া শিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষায় ট্যানারি মালিক শ্রমিকদের যৌথভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
গতকাল রাজধানীর হাজারীবাগ ট্যানারি মোড়ে ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন চামড়া শিল্প রক্ষা ঐক্য পরিষদের নেতারা। ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক, বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন। ট্যানারি মালিক সমিতির কো-চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মাহিন বলেন, আমাদের ব্যবসা ডুবতে বসেছে। আমরা এখন বাঁচার জন্য ছোট নৌকাতে করে সাগরে ভাসছি। আমাদের বাঁচার জন্য সকলে (ট্যানারি মালিক-শ্রমিক) মিলে একসঙ্গে নৌকার বৈঠা বেয়ে একটি লক্ষ্য ঠিক করে তীরের দিকে যেতে হবে। সামনে আরও বড় ঝড় আসতে পারে। তাই লক্ষ্য ভিন্ন রাখলে সামনে এগিয়ে যেতে পারব না। ট্যানারি মালিক ও শ্রমিকদের সম্পাদিত দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করে আবুল কালাম আজাদ বলেন, সমস্যা আমাদের সকলের। আমি ট্যানারি মালিকদের বলব, অন্যায় ও অযৌক্তিক কোনো আচরণ শ্রমিকদের সঙ্গে করবেন না। আপনারা (শ্রমিকরা) প্রত্যয়নপত্র চেয়েছেন। আপনাদের সঙ্গে আমাদের চুক্তিতেও রয়েছে। অবশ্যই প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হবে। আপনাদের বাদ দিয়ে আমরা সাভারের শিল্প নগরীতে যাব না। আপনাদের চাকরি হারানোর কোনো ভয় নেই।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, আমাদের এখান থেকে সরালে নাকি বুড়িগঙ্গা নদী ঠিক হয়ে যাবে। কই বুড়িগঙ্গা নদী কি ঠিক হয়ে গেছে? এখনো তো বুড়িগঙ্গা নদীতে নানা ধরনের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। তা কেন বন্ধ করা হচ্ছে না ? আসলে আমাদের এখান থেকে সরানোই ছিল মূল লক্ষ্য। শ্রমিক নেতা আবদুল মালেক বলেন, এখন পর্যন্ত যে সুযোগ-সুবিধা শ্রমিকদের দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলাম তা দেওয়া হয়নি। শ্রমিকদের জন্য বাসস্থান, মেডিকেল সুবিধা ও ছেলে-মেয়েদের জন্য স্কুলের ব্যবস্থা করা হয়নি। তাহলে শ্রমিকরা থাকবে কোথায়? আর অসুস্থ হলে চিকিৎসা নেবে কোথায়?