রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

কাজ শুরুর আগেই ২৮৯ কোটি টাকার প্রকল্প ৬১৫ কোটিতে

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খনন

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মহানগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে বহদ্দারহাট-বারইপাড়া-বলিরহাট থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত অনুমোদিত নতুন খাল খননকাজ এখনো শুরুই হয়নি। অথচ এরই মধ্যে প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে দুই দফা। ব্যয় বৃদ্ধির কারণে ২৮৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকার প্রকল্পের সংশোধিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৬১৫ কোটি ১৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। প্রকল্প শুরুর আগেই ব্যয় বেড়ে গেছে ৩২৫ কোটি ৭১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। ৫ মে প্রকল্পের সংশোধনী ব্যয় নিয়ে মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠক হওয়ার কথা।

চসিকের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৪ জুন বহদ্দারহাট থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত ২ দশমিক ৯০ কিলোমিটার খালের জন্য সরকার ২৮৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা অনুমোদন দেয়। এরপর প্রকল্পটির সংশোধিত ব্যয় ধরা হয় ৩২৬ কোটি ৮৪ লাখ ৮১ হাজার। কিন্তু বর্তমানে দ্বিতীয় সংশোধনীতে আবারও প্রকল্পটি সংশোধন করে দ্বিগুণ ব্যয় বৃদ্ধি হয় ৬১৫ কোটি ১৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকা।

প্রকল্প পরিচালক ও চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, সংশোধিত ব্যয় নিয়ে ৫ মে মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠক আছে। বৈঠকে এই বর্ধিত ব্যয় অনুমোদনের পর ব্যয় চূড়ান্ত হবে। নতুন খাল খননের মাধ্যমে ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রামে ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যানের সুপারিশক্রমে ড্রেনেজ এরিয়া ৭-এর ২ হাজার ২৬৪ হেক্টর এরিয়ার পানি নিষ্কাশনের স্বার্থে নগরের বহদ্দারহাট থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত নতুন খাল খনন করা জরুরি। তিনি বলেন, প্রকল্পে সিংহ ভাগ অর্থ ব্যয় হবে ভূমি অধিগ্রহণে। কিন্তু সব টাকা একসঙ্গে না আসায় ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। এরই মধ্যে ভূমির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে প্রকল্পের ব্যয়ও দ্বিগুণ হচ্ছে।

প্রকল্পসূত্রে জানা যায়, প্রকল্পের আওতায় আছে ২৩ দশমিক ৯ একর ভূমি অধিগ্রহণ, ৩ হাজার ৮৪৫ বর্গমিটার অবকাঠামোর ক্ষতিপূরণ, ৩ লাখ ঘনফুট মাটির কাজ, ৪২ হাজার ৮৩৪ ঘনমিটার বালি ভরাট, ৯টি আরসিসি ব্রিজ নির্মাণ, ২টি স্লুইস গেট নির্মাণ, শূন্য দশমিক ৪০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, ৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ, ২ দশমিক ৯০ কিলোমিটার রাস্তার উন্নয়ন। ৬৫ ফুট প্রস্থের খালটির খননকাজ বাস্তবায়নে সরকার দেবে ৭৫ শতাংশ ও সিটি করপোরেশন ব্যয় করবে ২৫ শতাংশ।

জানা যায়, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ১৯৯৫ সালে প্রণীত নগর উন্নয়ন মাস্টারপ্ল্যানে জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রধানতম সুপারিশ ছিল নতুন খাল খনন। ১৯৯৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সময়কাল ছিল। কিন্তু এর মধ্যে মাস্টারপ্ল্যানের কোনো কিছুই স্পর্শ করেনি কোনো সংস্থা।

সর্বশেষ খবর