চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাসাধারণের মাঝে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অনেকেরই প্রশ্ন, বছরজুড়ে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে, বাজারে সরবরাহের কোনো ঘাটতি নেই; তার পরও কেন বাড়ল চালের দাম? এরই মধ্যে লাফিয়ে চালের দাম বাড়ায় মাথায় পর্যন্ত হাত উঠেছে মধ্যবিত্তের।
জানা গেছে, বোরো ওঠার আগেই সব ধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। দুই সপ্তাহ ধরে এ দাম বাড়ছেই। এ ছাড়া দেশের কয়েকটি জেলায় আগাম বন্যার কারণে এ দাম আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বছরজুড়ে ধানের বাম্পার ফলনে দাম পড়ে যাওয়ায় কৃষকের দুর্গতির খবর এসেছে গণমাধ্যমে। অথচ চালের দামে বিপরীত চিত্র। ধানের সঙ্গে কোনো মিল নেই চালের দামের। গত বছর ২৩ টাকা দরে ধান ও ৩২ টাকা দরে চাল কেনে সরকার। তবে বছরজুড়ে আলোচনা ছিল ধানের কম দাম। সরকার ৯২০ টাকা দর বেঁধে দিলেও কৃষক মৌসুমের শুরুতে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা মণ দরে। পরে কিছুটা বাড়লেও তা ৯০০ টাকায় যায়নি। ১ মণ ধানে চাল হয় ২৬ কেজির কিছু বেশি। আর অটোমেটিক মেশিনে হয় ৩০ কেজির মতো। এই হিসাবে ব্যবসায়ীরাই বলছেন, চালের দাম ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় যাওয়ার কোনো কারণই নেই।
ওয়াকিবহালেরা জানান, চালের দাম বাড়লেও সরবরাহের কোনো ঘাটতি দেখা যায়নি বাজারে। তাহলে দাম কেন বৃদ্ধি?