রবিবার, ৭ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি হবে উন্নয়নের মডেল : খোকন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা দক্ষিণ সিটি হবে উন্নয়নের মডেল : খোকন

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মো. সাঈদ খোকন বলেছেন, ডিএসসিসি কোনো অংশে উন্নয়ন কম করেনি। আমরা যা উন্নয়ন করেছি তা সবার সামনে তুলে ধরা হয়েছে। যদি কেউ প্রমাণ দিতে পারেন ডিএসসিসি উন্নয়ন কম করেছে তাহলে জনগণ যে রায় দেবে তা মাথা পেতে নেব। আগামী তিন বছরের মধ্যে ডিএসসিসি হবে উন্নয়নের মডেল। তখন পৃথিবীর অনেক শহর থেকে এখানে মানুষ আসবে দেখার জন্য। গতকাল নগর ভবনে মেয়র পদে দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ডিএসসিসির সচিব খান মো. রেজাউল করিমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মো. বিলাল।

উপস্থিত ছিলেন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম চৌধুরী, অতিরিক্ত প্রধান বর্জ্যব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা খন্দকার মিল্লাতুল ইসলাম প্রমুখ।

দুই বছর আগেও নগরীর রাস্তাঘাট ছিল ভাঙাচোরা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ৩০০ ভাঙা রাস্তা চিহ্নিত করে মেরামত করা হয়েছে। সড়ক বাতির অবস্থা ছিল অত্যন্ত নাজুক। ১০ ভাগ সড়ক বাতিও জ্বলত না। মশক নিধনের ওষুধ ছিল না বললেই চলে। কিন্তু দুই বছরে এসব সমস্যার সমাধান হয়েছে। গত দুই বছরে নগরীর উন্নয়ন ও শৃঙ্খলামূলক কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে নানাবিধ হুমকি-ধমকি ও প্রতিরোধ এসেছে। কিন্তু কোনো চাপ আমাকে নতি স্বীকার করাতে পারেনি। আগামীতেও করব না। সাঈদ খোকন বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল গুলিস্তান, মতিঝিল এলাকার ফুটপাথ দখলমুক্ত করা। আমরা যখন এ অভিযান শুরু করি তখন অনেকের মনেই এ অভিযানের সফলতা নিয়ে সংশয় ছিল। আমরা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শতভাগ সফল হয়েছি।

এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, শান্তিনগর-মালিবাগ-মৌচাকে জলাবদ্ধতা থাকবে না। আগামী দুই মাসের মধ্যে সেখানে সড়কের উন্নয়ন ও জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

সাঈদ খোকন বলেন, মাত্র ৭ ঘণ্টায় এক কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে সক্ষম এমন অত্যাধুনিক মিলিং মেশিন সংগ্রহ করা হয়েছে। এর ফলে পুরনো সড়কের ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করেই নতুন সড়ক নির্মাণ সম্ভব, এতে ব্যয়ও কমবে ৪০ শতাংশ। তিনি বলেন, জলসবুজে ঢাকা প্রকল্পের মাধ্যমে ৩১টি খেলার মাঠ ও পার্ক ঢেলে সাজানো হচ্ছে। এ বছরের শেষের মধ্যে কাজ শেষ হবে। ১১টি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হচ্ছে, যার মধ্যে ৪৭টি নির্মাণাধীন। চলতি বছরে ৮টি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ ও ১৭টি সংস্কারের কাজ চলছে উল্লেখ করে মেয়র আরও বলেন, মেগা প্রকল্পের আওতায় ২টি অত্যাধুনিক পশু জবাইখানা নির্মাণসহ শিশু পার্ক নির্মাণ, যাত্রী ছাউনি, বাস-বে নির্মাণ, স্বচ্ছ পুলিশ বক্স স্থাপন, সড়কে সুপেয় পানি পানের জন্য ওয়াটার ফাউন্টেন নির্মাণ, কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ ও সিসি ক্যামেরা বসানোসহ অনেক কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর