বৃহস্পতিবার, ১১ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

কোন্দলে জর্জরিত বিএনপি

চট্টগ্রাম

ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম

কোন্দলে জর্জরিত বিএনপি

কোন্দলে জর্জরিত চট্টগ্রাম বিএনপি। গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে নেতা-কর্মীরা মূলত এই কোন্দলে জড়িয়ে পড়ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে চট্টগ্রাম বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের মাত্রা তীব্র রূপ নিয়েছে। এতদিন অন্তঃপুরে থাকলেও এখন তা চলে  এসেছে প্রকাশ্যে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির পরপর দুটি কর্মী সমাবেশ পণ্ড হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে। হাতাহাতি ও ভাঙচুরে লিপ্ত হলে সমাবেশ স্থল পরিণত হয় রণক্ষেত্র। ফলে দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত দুটি কর্মী সমাবেশ দলীয় কোন্দলে মুহূর্তেই পণ্ড হয়ে যায়। যার ফলে তৃণমূল পর্যায়ে গোছানোর প্রক্রিয়া হিসেবে উত্তর-দক্ষিণ ও মহানগর বিএনপি কর্মী সমাবেশ আয়োজন করলেও তাতে ফলপ্রসূ কোনো কিছু হয়নি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে ২ মে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে দুগ্রুপের পাল্টা-পাল্টি ধাওয়া, সংঘর্ষ, গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। ওই দুই নেতার আধিপত্যকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির কর্মিসভায় বেলা ৩টার দিকে দুপক্ষের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিএনপির কার্যালয় নাছিমন ভবনে এই সংঘর্ষে কর্মিসভা পণ্ড হয়ে যায়। আহত হন অন্তত চার ছাত্রদল কর্মী। এ সময় মঞ্চে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ নগর বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। একইভাবে ৩ মে দুগ্রুপে পাল্টা-পাল্টি ধাওয়া, সংঘর্ষ, গাড়ি ভাঙচুরের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামের পটিয়াতে হয় দক্ষিণ জেলা বিএনপির কর্মিসভা। বেলা ২টার দিকে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহসভাপতি এনামুল হক এনামের নেতৃত্বে শতাধিক নেতা-কর্মী সমাবেশস্থলে মিছিল নিয়ে পৌঁছলে সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান জুয়েল গ্রুপের সমর্থকরা তাদের দিকে চেয়ার ছুড়ে মারে। পরে এনাম গ্রুপের নেতা-কর্মীরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে অবস্থান নিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় এনামসহ অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন আহত হন। এই কর্মিসভায়ও প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তবে ৪ মে নগর বিএনপির কর্মী সমাবেশ যথানিয়মে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানকার অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকলেও তা এখনো প্রকাশ্যে আসেনি।

নগর বিএনপি সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘বিএনপি বড় দল যেহেতু মতপার্থক্য থাকবে। তবে সেটি যে মাত্রায় পৌঁছেছে তাতে উদ্বিগ্ন না হওয়ার উপায় নেই।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর