শনিবার, ২০ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

ঢামেক হাসপাতালে খাবার পানির সংকট

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢামেক হাসপাতালে খাবার পানির সংকট

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। যে কারণে রোগীর স্বজনরা হাসপাতালের পাম্পে লাইন ধরে পানি সংগ্রহ করছেন। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, পানির লাইনগুলো বহুবছরের পুরনো, তাই সেখানকার জয়েন্টগুলো দিয়ে ময়লা-আবর্জনা ঢুকে যেতে পারে। এমনিতে পানির তেমন কোনো সমস্যা হয় না, ছুটির দিনে লোকজন কম থাকলে একটু সমস্যা হয়।

গতকাল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বেশকিছু রোগীর স্বজন যাচ্ছেন জরুরি বিভাগের পশ্চিম দিকে পাম্পে। সেটি ছাড়লেই পানি সংগ্রহ করবে। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করছেন পানির পাম্প কখন ছাড়বে, আর কখন পানি নেবে। তবে সেখানে পানি নিতে কোনো টাকা-পয়সা লাগে না। কিন্তু এমনিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ গেটে ৫ টাকায় সংগ্রহ করা যায় বোতল ভর্তি পানি। এছাড়া আশপাশের দোকানগুলোয় বোতলজাত খাবার পানি বিক্রি করা হয় দ্বিগুণ দামে।

আসলাম নামের একজন রোগীর স্বজন জানান, লাইনের পানি খাওয়ার মতো কোনো পরিবেশ নেই। গন্ধ, ময়লা। তাই পাম্প ছাড়লেই সেখান থেকে কয়েক বোতল পানি এনে রোগীকে খাওয়ানো হচ্ছে। একজন আনসার সদস্য জানান, হাসপাতালে কর্মরত অনেকে তাদের আশপাশের দোকানগুলোতে চোরাইপথে পানি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। ফলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া নতুন ভবনের পানির পাম্পের সংযোগ মাটির নিচে ফেটে গেছে সে কারণেও এ সমস্যা হতে পারে। জানা গেছে, ঢামেক হাসপাতালে মোট চারটি পানির পাম্প রয়েছে। হাসপাতালের ১০ তলা ভবন, ওটি ভবন (অপারেশন থিয়েটার), আউটডোর ও বার্ন ইউনিটের পাশে নিজস্ব চারটি পাম্প রয়েছে। ঢাকা ওয়াসার একটি পাম্প আছে নার্সিং হোস্টেলের পাশে। হাসপাতালের নিজস্ব পাম্পগুলো পরিচালনা করে গণপূর্ত অধিদফতর। প্রত্যেকটি পরিচালনার জন্য একজন অপারেটর আছেন। সড়ক দুর্ঘটনায় ক্যাজুয়ালটি বিভাগে ভর্তি এক রোগীর স্বজন মনিরুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে সারা দেশের রোগীরা আছে। এখানে পানির সমস্যা মেনে নেওয়া যায় না। এত রোগী, রোগীর লোকজন বিশুদ্ধ খাবার পানির জন্য কোথায় যাবে। সদ্য বিদায়ী হাসপাতালের উপ-পরিচালক (সম্প্রতি তিনি স্বাস্থ্য অধিদফতরে যোগ দিয়েছেন) অধ্যাপক ডা. খাজা আবদুল গফুর বলেন, হাসপাতালের সব কাজ আমরা গণপূর্ত অধিদফতরের মাধ্যমেই করে থাকি। রোগীর স্বজনরা খাবার পানির জন্য পাম্পে গিয়ে থাকতে পারে। কিন্তু লাইনের পানিতে কোনো সমস্যা থাকার কথা না। তবে ছুটির দিনে লোকবল কম থাকার কারণে একটু সমস্যা হয়ে থাকে।

সর্বশেষ খবর