বুধবার, ২৪ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

কুদ্দুসের বদলে কুদরত আলীকে গ্রেফতার!

শেখ সফিউদ্দিন জিন্নাহ্

কুদ্দুসের বদলে কুদরত আলীকে গ্রেফতার!

বাবা-মেয়ের আত্মহত্যার চার সপ্তাহ পার হলেও এখনো অধরা ঘটনার মূল আসামিরা। তবে অভিযোগ উঠেছে, পুলিশ নিরীহ মানুষকে আসামি বানিয়ে হয়রানি করছে। এরই মধ্যে নিরীহ কয়েক ব্যক্তিকে আটক দেখালেও প্রকৃত কোনো আসামিকে ধরতে পারেনি। পুলিশের তত্পরতায় একজন নিরীহ মানুষ জেল খাটছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে মামলার তিন নম্বর আসামি কুদ্দুসকে (৪০) গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। আর গ্রেফতার এই কুদ্দুস আসামি কুদ্দুস নন বলে দাবি করে তার পরিবার। তার নাম কুদরত আলী (৬০)। তবে পুলিশ কুদরত আলীকে কুদ্দুস বানাতে উঠেপড়ে লেগেছে। মামলায় কুদরত আলী নামে কোনো আসামির নামই নেই। পুলিশের দাবি, বাদীকে দিয়ে আসামি শনাক্ত করা হয়েছে। তবে বাদী হালিমা বেগম বলেন, ‘পুলিশ আমাকে আসামি না দেখিয়ে একটি ছবি দেখিয়েছে।’ এর আগেও একজনের বদলে আরেকজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।

আটক কুদরত আলীর মেয়ে লিজা জানান, ‘ওইদিন আব্বা মাগরিবের নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন। এমন সময় সাদা পোশাকে পুলিশের লোকজন তাকে ধরে নিয়ে যায়।’ স্থানীয়রা জানান, ‘আমরা বার বার বলেছি তিনি কুদ্দুস নন, তিনি কুদরত আলী। আমাদের কোনো কথাই শোনেনি পুলিশ। তারা জোর করে কুদরত আলীকে কুদ্দুস বানিয়ে দিল!’ প্রতিবেশী আবদুল মোতালেব (৯৫) জানান, ‘কুদরত আলী আমাদের কোনাপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি। এ ঘটনার পর থেকে কখনই সে পলাতক ছিল না।’ আটক কুদরত আলীর ছোট বোন মাসুদা জানান, ‘নিজের নাম এমনকি বাবার নামেও মিল নেই। তবুও পুলিশ জোর করে কুদ্দুস বলে ভাইকে আটক করেছে। পরে থানায় গেলে পুলিশের সোর্স কর্ণপুর গ্রামের হিরণ আমাদের কাছে টাকা চেয়েছেন। আমরা গরিব মানুষ টাকা দিতে পারিনি। এজন্য আমার ভাইকেও ছাড়েনি।’

শ্রীপুর থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, ‘হালিমা বেগমের দুই মামলার আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’

তবে গ্রেফতার আসামি কুদ্দুস নাকি কুদরত আলী সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে চাননি।

প্রসঙ্গত, ২৯ এপ্রিল শ্রীপুর রেলস্টেশনের কাছে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে মেয়ে আয়েশাকে নিয়ে আত্মহত্যা করেন বাবা হযরত আলী। মেয়েকে শ্লীলতাহানি, গরু চুরি যাওয়া ও প্রতিবেশীদের হামলার বিচার না পাওয়ায় বাবা-মেয়ে আত্মহত্যা করেন।

সর্বশেষ খবর