শনিবার, ২৭ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

চুক্তি করলেও সরকারকে চাল দিচ্ছে না কল মালিকরা

সময় বাড়িয়েও সাড়া মেলেনি

শাহজাদা মিয়া আজাদ, রংপুর

চলতি বোরো চাল সংগ্রহ অভিযানে সরকারি গুদামে চাল দেওয়ার চুক্তি করলেও সরবরাহ করছেন না রংপুরের চালকল মালিকরা। সরকার নির্ধারিত সংগ্রহমূল্যের চেয়ে বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় সরকারকে চাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তারা। তবে চালকল মালিকরা বলেছেন, বাজারমূল্য সরকার নির্ধারিত মূল্যের নিচে নেমে এলেই চাল সরবরাহ করা করা সম্ভব হবে। চলতি বছর সরকার প্রতি কেজি মোটা চালের সংগ্রহমূল্য নির্ধারণ করে ৩৪ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি চালের পাইকারি মূল্য এখন ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো চাল সংগ্রহ অভিযানে রংপুরের আট উপজেলায় ১৭ হাজার ৬৪৮ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। চুক্তিবদ্ধ চালকল মালিকদের কাছ থেকে এ চাল সংগ্রহ করা হবে। ২-২০ মে ছিল চালকল মালিকদের সঙ্গে চুক্তি করার সময়সীমা। ২০মে পর্যন্ত ৩২০ জন চালকল মালিকের সঙ্গে ৪ হাজার ৯০৫ মেট্রিক টন চাল সরবরাহের চুক্তি হয়। চালকল মালিকরা আশানুরূপ সাড়া না দেওয়ায় চুক্তির সময়সীমা ৩১ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ১ মে থেকে শুরু হওয়া সংগ্রহ অভিযান চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।  

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শাহজাহান ভুঁইয়া জানান, ৩২০ জন চালকল মালিকের সঙ্গে চুক্তি করা হলেও গতকাল পর্যন্ত এক ছটাক চালও সরবরাহ করেননি চালকল মালিকরা। চুক্তিবদ্ধ চালকল মালিকদের তাগাদা দেওয়া হলেও সাড়া মিলছে না। 

রংপুরের সবচেয়ে বড় চালের মোকাম মাহিগঞ্জের চালকল মালিক মনিরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ধানের দাম বেশি হওয়ায় চালের দাম বেড়ে গেছে। প্রতি কেজি মোটা চালের উৎপাদন খরচ পড়ছে ৪০-৪৩ টাকা। মুনাফা ধরে চালকল মালিকরা বিক্রি করছেন ৪৪-৪৫ টাকা কেজি দরে। খোলাবাজারে চাল বিক্রি করলে তো  মুনাফা বেশি পাওয়া যাচ্ছে। সরকারি গুদামে চাল দিয়ে লোকসান গুনতে হবে।   

রংপুর সদর উপজেলা  চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলম বাবু বলেন, সরকার যে দাম  নির্ধারণ করে দিয়েছে তার চেয়ে বাজারে কেজি প্রতি ১০-১১টাকা দাম বেশি। যে কারণে চাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে     না। তবে বাজারমূল্য সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে    নিচে নেমে এলেই কেবল চাল দেওয়া সম্ভব হবে।

একই অভিমত ব্যক্ত করেন জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ  সম্পাদক শেখ আবুল কাশেম।

সর্বশেষ খবর