রবিবার, ২৮ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

দেশের কাপড় ব্যবসায়ীরা এখন ইসলামপুরে

জমজমাট বেচাকেনা ঈদ সামনে রেখে

মাহবুব মমতাজী

দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি কাপড়ের বাজার পুরান ঢাকার ইসলামপুর। সেখানে এখন ঢল নেমেছে সারা দেশের কাপড় ব্যবসায়ীদের। ঈদ আর রমজানকে উপলক্ষ করে চলছে তাদের পাইকারি বেচাকেনা। দেশি থান কাপড়ের ৬০ ও বিদেশি থান কাপড়ের ৪০ শতাংশ চাহিদা এই ইসলামপুরের ব্যবসায়ীরা পূরণ করেন। ৪ হাজারের বেশি বস্ত্র ব্যবসায়ী রয়েছেন এখানে। তবে বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য ৩ হাজার ৯০০ জন। জানা গেছে, বহু নতুন শপিং মল, মার্কেট হয়েছে কিন্তু এসব মার্কেটের ব্যবসায়ী ও ছোট ছোট দোকানের ব্যবসায়ীরা এখনো এই সমিতির সদস্য হননি। গতকাল সরেজমিনে ইসলামপুরের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, কাপড়ের বান্ডিল করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বিক্রেতারা। ক্রেতারা ভ্যান, পিকআপে মাল উঠিয়ে গন্তব্যে নিচ্ছেন। যানজটের মধ্যে অনেকে অপেক্ষাও করছেন দীর্ঘক্ষণ। কাপড় বিক্রিকে কেন্দ্র করে পাটুয়াটুলী থেকে বাবুবাজার, আহসান উল্লাহ মঞ্জিল রোড, সদরঘাট রোডে এদিন ছিল তীব্র যানজট। মিরপুরের আবদুল বারেক ভরদুপুরে ঘুরছিলেন ইসলামপুরের চায়না মার্কেটে। খুব তাড়াহুড়ার মধ্যে ছিলেন। জানালেন, নিজের প্রতিষ্ঠানের জন্য ঈদের আগে শেষবারের মতো থ্রি পিস, শার্ট পিস আর প্যান্ট পিস কিনতে এসেছেন। বারেক বললেন, ‘জুতসই পাইকারি মূল্যে কেনার জন্য ইসলামপুরের বিকল্প নেই। এখান থেকে কিনলে পড়তা পড়ে।’

ইসলামপুরের ব্যবসায়ীরা জানান, সারা বছরই এ বাজার চালু থাকে। ঈদকে কেন্দ্র করে এ এলাকায় বিশাল বাজার শুরু হয়। শবেবরাতের পর পুরোদমে জমে ওঠে বাজার। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের বিকিকিনি। অনেকে আবার নগরীর বিভিন্ন মার্কেটে প্রাথমিক বিক্রির পাট চুকিয়ে বকেয়া তাগাদায় ধরনা দিচ্ছেন। ইসলামপুরে ছোট-বড় মিলিয়ে মার্কেট আছে অন্তত ৯৩টি। এখানকার বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নেছার উদ্দিন মোল্লা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এই বেচাকেনা সর্বোচ্চ ১৫ রমজান পর্যন্ত চলবে। তবে এবার অন্যান্য কাপড়ের তুলনায় মেয়েদের থ্রি পিসগুলোর বিক্রি অনেক বেশি। আর থান কাপড়ের বিক্রি সারা বছরই থাকে। ইসলামপুর থেকে গার্মেন্ট মালিকরা মাল নিয়ে যান। তারা রেডিমেড তৈরি করে বিক্রি করে। দেখা যায়, এখানকার চায়না মার্কেট, হাজী কে হাবিবুল্লাহ মার্কেট ও নবাববাড়ী গেট মার্কেটে রয়েছে শার্ট, পাঞ্জাবিসহ নানা ধরনের থান কাপড়ের সমাহার।

সর্বশেষ খবর