মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

চকবাজারের বাহারি ইফতার

‘বড়বাপের পোলায় খায়’ কিনতে ভিড়

মাহবুব মমতাজী

চকবাজারের বাহারি ইফতার

পুরান ঢাকার চকবাজারে ইফতারের বিভিন্ন আইটেমের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা —বাংলাদেশ প্রতিদিন

পুরান ঢাকার চকবাজারের ঐতিহ্যবাহী খানদানি ইফতার সামগ্রীর সুনাম শুধু দেশেই নয়, রয়েছে বিদেশেও। ভোজনরসিকদের কাছে এ স্থানটি বেশ জনপ্রিয়। পবিত্র রমজানে গোটা রাজধানী ইফতার বাজারে পরিণত হলেও চকবাজারে রোজাদারদের ভিড় থাকে একটু বেশি। গত রমজানের তুলনায় এবারের প্রতিটি ইফতার সামগ্রীতে দাম বেড়েছে গড়ে ৫০ টাকা করে। দুপুর ১টার পরপরই চকের শাহী মসজিদের সামনের অংশে উর্দু রোর্ডের দুই পাশে বসানো হয়ে থাকে হরেক রকমের নবাবি ইফতার সামগ্রী। 

‘বড়বাপের পোলায় খায়’ খাবারটি মোট ৩৬ আইটেম ও ১৮টি মসলা দিয়ে তৈরি করা হয়। গরুর মগজ, গরুর কলিজা, মুরগির মাংসের কুচি, সুতি কাবাব, মাংসের কিমা, ডিম, আলু, ঘি, বুটের ডালসহ নানা ধরনের মসলার মিশ্রণে তৈরি করা হয়। প্রতি কেজির দাম সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।

গতকাল চকবাজার ঘুরে আরও দেখা গেছে, রাস্তার মাঝখানেই সারি সারি প্রায় দুই শতাধিক দোকান দিয়েছেন রমজানের মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। যেসব ইফতার নিয়ে বসেছেন তারা এর মধ্যে রয়েছে— সুতি কাবাব, জালি কাবাব, শাকপুলি, টিকা কাবাব, আস্ত মুরগির কাবাব, মোরগ মুসলম, বঁটিকাবাব, কোফতা, চিকেন কাঠি, শামি কাবাব, শিকের ভারী কাবাব, ডিম চপ, কাচ্চি, তেহারি, মোরগ পোলাও, কবুতর ও কোয়েলের রোস্ট, খাসির রানের রোস্ট, দইবড়া, মোল্লার হালিম, নুরানি লাচ্ছি, পনির ইত্যাদি। এসবের মধ্যে খাসির কাবাব প্রতি কেজি ৮০০ টাকা। আগে ছিল ৭৫০ টাকা কেজি প্রতি। গরুর কাবাবের কেজি ৬০০ টাকা। খাসির রানের রোস্ট প্রতি পিস ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা। আগে ছিল সাড়ে ৩০০ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকা। দেশি ছোট মুরগির রোস্ট ৩০০ টাকা। আগে ছিল ২৫০ টাকা। কবুতরের রোস্ট ১৩০ টাকা। আগে ছিল ১১০ টাকা। এ ছাড়া চিকন জিলাপি কেজি ১২০ টাকা, বড় শাহী জিলাপি ২০০ টাকা। আগে ছিল ১৫০ টাকা। দইবড়া কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, চিকেন স্টিক পিস ৭০ থেকে ৯০ টাকা, জালি কাবাব ২০ থেকে ৪৫ টাকা, বিফ স্টিক ৪০ থেকে ৭০ টাকা, কিমা পরোটা ৩০ থেকে ৫০ টাকা, টানা পরোটা ২০ টাকা পিস, হালিম (বাটির আকারভেদে) ৬০ থেকে ৩০০ টাকা, ডিম চপ ১৫ টাকা, সমুচা ১০ টাকা, পিয়াজু ৫ টাকা, আলুর চপ ৫ টাকা, বেগুনি ৫ টাকায় বিক্রি করা হয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর