শনিবার, ১০ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

রাজনৈতিক দলে ৩৩ ভাগ নারী প্রতিনিধিত্ব চায় ইসি

চিঠি যাচ্ছে ৪০ দলের কাছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

সব কমিটিতে ৩৩ ভাগ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নিবন্ধন পদ্ধতি চালুর প্রায় ১০ বছর পার করেও আশাপ্রদ অগ্রগতি না হওয়ায় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) বাধ্যবাধকতার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিতেই এ উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন। ইসি সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এ তথ্য জানান। আরপিওর ৯০-এর খ-এর খ(২) অনুচ্ছেদে, কেন্দ্রসহ রাজনৈতিক দলের সর্বস্তরের কমিটিতে অন্তত ৩৩ শতাংশ পদ নারীদের জন্য সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। পর্যায়ক্রমে ২০২০ সাল নাগাদ এই লক্ষ্য অর্জনের কথা বলা হয়েছে। ২০০৮ সালে নিবন্ধন পদ্ধতি চালুর পর নারী প্রতিনিধিত্বের এ হার পূরণের প্রতিশ্রুতি ইসিকে দেয় রাজনৈতিক দলগুলো। কিন্তু এখন পর্যন্ত ১৫ শতাংশও নারী সদস্যপদ পূরণ হয়নি।

ইসি সচিব বলেন, ‘গঠনতন্ত্র মেনে দলগুলো কাউন্সিল করছে। পাশাপাশি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের বিধানটি অনুসরণের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিতে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিগগিরই দলগুলোর সাধারণ সম্পাদকের কাছে চিঠি যাবে।’ নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের একজন গবেষক জানান, কেন্দ্রীয় পর্যায়ের উল্লেখযোগ্য কমিটিতে বড় তিন দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির গড়ে ১১ শতাংশ পদেও নারী সদস্য নেই। ২০২০ সালের মধ্যে ৩৩ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে সংশয় রয়েছে। দলগুলোর কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কিছু নারী নেতৃত্ব থাকলেও তৃণমূলে এ দৃশ্য খুবই হতাশাজনক।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ে লক্ষ্যপূরণ করতে না পারলে নিবন্ধন বাতিলের মতো কোনো নির্দেশনা আইনে বলা হয়নি।

তবে আরপিও সংশোধন করে আবার সময় বাড়ানোর  বিষয়টি বিবেচনার সুযোগ রয়েছে।’ কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন সব দলের অংশগ্রহণে একাদশ সংসদ নির্বাচন করতে রোডম্যাপ তৈরি করছে। নির্বাচনী আইন সংস্কারসহ নানা বিষয়ে আগামী মাসের শেষ দিকে সংলাপ শুরুর কথা রয়েছে। সংলাপের প্রাক্কালে দলগুলোর কাছে নারী প্রতিনিধিত্ব নিয়ে এই চিঠি যাচ্ছে। নারীর ক্ষমতায়নে দলগুলোর সদিচ্ছা থাকায় নির্ধারিত সময়ের   মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে আশা কমিশনের।

সর্বশেষ খবর