মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা
সরকারি হওয়া ১৮ কলেজ

দেড় বছরেও জাতীয়করণের মর্যাদা পাননি কর্মরতরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনাসহ সারা দেশে সরকারিকরণ হওয়া ১৮টি কলেজে কর্মরত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দেড় বছরেও জাতীয়করণ হননি। জাতীয়করণের বিষয়ে জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না পাওয়ায় তাদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন কারণে পদ শূন্য হলেও সেখানে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। ফলে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা জানান, সরকারিকরণের পর কয়েকটি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ স্বপদে বহাল থাকার জন্য হাইকোর্টে রিট করলে জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে যায়। এজন্য তারা বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না।

জানা যায়, খুলনার কয়রা মহিলা কলেজ ও মংলা কলেজসহ একই প্যাকেজে ১৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা হয় ২০১৬ সালের ৩০ মার্চ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সর্বজ্যেষ্ঠ শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি ২০০০ সালের বিধিতে কর্মরত অধ্যক্ষ থেকে শুরু করে সব শিক্ষক একই কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেবেন। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় ওই সময় পাঁচটি কলেজে ‘সংযুক্ত অধ্যক্ষ’ নিয়োগ দিলেও এর বিরোধিতা করে হাই কোর্টে রিট করা হয়। বরগুনা আমতলী কলেজের অধ্যক্ষ মুজিবর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘কলেজ জাতীয়করণের পর সৃষ্টপদে তাদের যোগদানের ব্যবস্থা না করে সংযুক্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ সম্পূর্ণ অবৈধ। এছাড়া বেসরকারি কলেজের শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্ত করতে বিসিএস সমিতির আপত্তি থাকায় কিছুটা জটিলতা তৈরি হয়েছে।’  ভুক্তভোগীরা শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, দীর্ঘদিনে জনবল নিয়োগ না হওয়ায় সরকারি বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খুলনা অঞ্চলের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) টিএম জাকির হোসেন বলেন, সরকারিকরণ হওয়া কলেজগুলোর মধ্যে কয়েকটির নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য কলেজের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

সর্বশেষ খবর