বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

ফিলিং স্টেশনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধে দিনভর দুর্ভোগে মানুষ

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বললেন এ সমস্যা সাময়িক

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য রাজধানীর সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন অনেকে। তড়িঘড়ি করে অনেকে মঙ্গলবার রাতেই গাড়িতে গ্যাস ভরেছেন। ফিলিং স্টেশন বন্ধ থাকায় গাড়িতে গ্যাস না নিতে পেরে গতকাল রাজধানীতে গণপরিবহনের সংকট দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত এগুলো বন্ধ থাকবে বলে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ঈদের আগেই ঘোষণা দেয়।

তিতাস গ্যাসের পক্ষ থেকে দেওয়া ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির অধীনে থাকা সব সিএনজি ফিলিং স্টেশন এই ২৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া ২৩ জুন থেকে আগামী ৩ জুলাই পর্যন্ত তিতাস গ্যাসের আওতাভুক্ত সব সিএনজি স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার কথাও জানানো হয়। তবে এ সমস্যা সাময়িক জানিয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, বিদ্যুতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। গতকাল সচিবালয়ে নিজের কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি। নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই জানিয়ে এসেছি যে, বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ডে সার্ভিসিং হবে। পেপারেও দিয়েছি। সে কারণেই সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে গ্যাস দিতে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘এটা বেশিক্ষণ নয়, ২৪ ঘণ্টার জন্য। মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বুধবার রাত ১২ পর্যন্ত।’ মন্ত্রী আগে থেকে জানিয়ে আসার কথা বললেও ভুক্তভোগী অনেকেই বলেছেন, ২৭ জুন রাত থেকে গ্যাস বন্ধ থাকবে এমন খবর তারা আগে শোনেননি। ফলে ঈদের ছুটির পর অফিস খোলার প্রথম দিনই সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাদের। অনেককে ঢাকায় ফিরে গণপরিবহন সংকটে পড়তে হয়েছে। বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারহান নূর বলেন, ঈদের আগে-পরে ১০ দিন ২৪ ঘণ্টা সিএনজি ফিলিং স্টেশন খোলা রাখার সরকারি সিদ্ধান্ত ছিল। এর সঙ্গে এ সিদ্ধান্ত সাংঘর্ষিক। ঈদে বাড়ি যাওয়া এবং বাড়ি থেকে ফেরার সুবিধার জন্য সরকার ২৪ ঘণ্টা পাম্প খোলা রাখার অনুমতি দিল। আবার এ সময়ের মধ্যেই সারা দেশে পাম্প বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কারণে মানুষের অনেক দুর্ভোগ হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর