বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

ভাড়া বেশি, সুবিধা কম বাসা ছাড়ছেন শিক্ষকরা

মর্তুজা নুর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

ভাড়া বেশি, সুবিধা কম বাসা ছাড়ছেন শিক্ষকরা

যখন-তখন দেয়াল ও ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলস্তারা। চারদিকে ঝোপ-ঝাড় থাকায় মশা-মাছির উৎপাত। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার বেহাল দশা। সব মিলিয়ে চরম আকার ধারণ করেছে ষাটের দশকে নির্মিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক শিক্ষকদের ভবনগুলো। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ষাটের দশকে নির্মিত এ, বি ও সি ক্যাটাগরির আবাসিক ভবনগুলোর ৩১৯টিতে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পরিবার থাকার ব্যবস্থা আছে। এর মধ্যে ২৫৯টি সরকার নির্ধারিত বাড়ি ভাড়া কর্তন হিসেবে ও ৬০টি নির্ধারিত ভাড়ায় বরাদ্দ দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তা রয়েছেন প্রায় দুই হাজার। সেই হিসাবে প্রতি সাতজনের জন্য বাসা বরাদ্দ রয়েছে একটি। এ ছাড়া সাধারণ ও সহায়ক কর্মচারীদের জন্য একইভাবে বেতন থেকে বাড়ি ভাড়া কর্তন হিসেবে ৮৮টি ও নির্ধারিত ভাড়ায় ৫০টি বাসা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক বাসায় থাকা শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বাসা ভাড়া কর্তন করা হয় সরকার নির্ধারিত হারে। এর চেয়ে কম টাকায় অন্যস্থানে বাসা পাওয়া যায়। সে জন্য গত তিন মাসে প্রায় ৪০ জন শিক্ষক বাসা ছেড়েছেন। বর্তমানে খালি পড়ে আছে ৫৩টি বাসা। এদিকে ছেড়ে যাওয়া বাসাগুলোয় বরাদ্দ নিতে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলেও সাড়া মিলছে না।

 

শিক্ষকদের অভিযোগ, ষাটের দশকে যেভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল, সেভাবেই রয়ে গেছে। এর মধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে পেইন্ট ও ফিটিংস। বাইরে থেকে দেখে ভালো মনে হলেও ভবনগুলো পুরনো হওয়ায় অনেক সময় ছাদ থেকে বালু ও পলস্তারা খসে পড়ে। এ ছাড়া টয়লেটের দুর্গন্ধের কারণে বসবাস কষ্টকর। বিদ্যুতের লাইনগুলোও নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে। আশপাশের নালাগুলোতে জমে থাকা পানিতে জন্ম নেয় মশা-মাছিসহ ক্ষতিকর পোকা-মাকড়। সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জন্য বারবার বলা হলেও সাড়া দিচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাই বাধ্য হয়ে বাসা ছাড়তে হচ্ছে বলে দাবি শিক্ষকদের।

জানা গেছে, আবাসিক বাসার নির্ধারিত ভাড়া নির্ধারণের দাবিতে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে আন্দোলন শুরু হলে সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিনকে আহ্বায়ক করে কমিটি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে অধ্যাপক মিজানউদ্দিন উপাচার্য হওয়ার পরও সেটি আলোর মুখ দেখেনি। এ ঘটনায় হতাশা ব্যক্ত করছেন শিক্ষকরা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আবদুস সোবহান বলেন, ‘কয়েকদিন হলো আমি উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছি। পর্যায়ক্রমে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর