শুক্রবার, ৩০ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা
সংসদে খাদ্যমন্ত্রী

এক কোটি ৬ লাখ টন চালের মজুদ রয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম বলেছেন, বর্তমানে প্রকৃত অর্থে চালের কোনো ঘাটতি নেই। দেশে বর্তমানে ১ কোটি ৬ লাখ মেট্রিক টনের বেশি চাল মজুদ রয়েছে। সরকারি মূল্য ও বাজার মূল্যের তারতম্যের কারণে চালের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল। তবে বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিভিন্ন সময়ে সরকারের সামাজিক বিভিন্ন কর্মসূচিতে চাল বিতরণ ইত্যাদি কারণে চালের কাঙ্ক্ষিত মজুদ করা সম্ভব হয়নি। আগামী দিনে যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকার চাল আমদানি করছে। ইতিমধ্যে ভিয়েতনাম থেকে আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে। ভিয়েতনাম ও ভারত থেকে ৪ লাখ মেট্রিক টন চাল পাইপলাইনে রয়েছে। সংসদে বাজেট অধিবেশনে গতকাল প্রস্তাবিত বাজেটের মঞ্জুরি দাবির ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। চালের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারি মূল্য ও বাজার মূল্যের তারতম্যের কারণে চালের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল। হাওরের বন্যায় আমাদের যে ফসলের ক্ষতি হয়েছে তার সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও মিল মালিক চালের দাম বাড়িয়েছেন। আমি আগে থেকেই এনবিআরের কাছে চালের আমদানি শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়ে আসছিলাম। শেষ পর্যন্ত সরকার আমদানি শুল্ক কমিয়েছে। এখন চালের মূল্য নিয়ন্ত্রণে আসবে।’ খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আশা করছি ৪ লাখ মেট্রিক টন চাল অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সংগ্রহ করতে পারব। আমাদের চালের মজুদ কম থাকায় ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকায় চাল দেওয়ার কর্মসূচিতে চালের পরিবর্তে গম দেওয়া হয়েছিল। চালের আমদানি শুল্ক হ্রাসের পর পর্যাপ্ত চাল আসবে এবং সরকারের সামাজিক কর্মসূচিতে আবারও চাল বিতরণ করতে পারব।’ খাদ্যমন্ত্রী সংসদে তার মন্ত্রণালয়ে রাষ্ট্রপতির অনুকূলে উন্নয়ন ও উন্নয়ন ব্যয় নির্বাহকল্পে ১৪ হাজার ৪০০ কোটি ৯ লাখ ৮১ হাজার টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেন।

সর্বশেষ খবর