রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌরসভার সুলতানগঞ্জ এলাকায় গরুবাহী নসিমন থেকে চাঁদা আদায় করছে স্থানীয় একটি চক্র। আওয়ামী লীগ-যুবলীগের পরিচয়ধারী ওই ব্যক্তিরা চাঁদা না দিলে গরুবাহী যানবাহনের চালককে মারধর করছেন। চাঁদাবাজদের সংকেত না মেনে পালাতে গেলে গরুবাহী যানবাহনকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেলও নিক্ষেপ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবশ্য পৌর চেয়ারম্যান চাঁদা আদায়ের সঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানিয়েছেন।

গতকাল ভোরে এমনই একটি গরুবাহী নসিমন চাঁদা না দিয়ে পালাতে গেলে চাঁদাবাজরা চালককে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এতে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে মনিরুল ইসলাম (২৫) নামে নসিমনের ওই চালক গুরুতর আহত হন। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেলে স্থানান্তর করেন। এ ঘটনায় মারা গেছে নসিমনে থাকা দুটি গরু।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে গরুবাহী নসিমনটি রাজশাহীর সিটি হাটে যাচ্ছিল। ওই সময় স্থানীয় কয়েকজন যুবক চাঁদার জন্য নসিমনটিকে থামতে সংকেত দেয়। কিন্তু চালক তাতে সাড়া না দিয়ে চলে যাচ্ছিলেন। এ সময় চাঁদাবাজরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে নসিমনটির মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী গরুবাহী যানবাহনগুলো থেকে সুলতানগঞ্জ এলাকায় চাঁদা আদায় করেন স্থানীয় জামরুল, জাকু সোহেল, কালু, রাজিব, এনামুল ও তার ছেলে নবী। গোদাগাড়ী পৌরসভার নামে এই চাঁদা আদায় করা হয়। আর চাঁদার একটা অংশ যায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার কাছে।

দুর্ঘটনার পর স্থানীয় এক ব্যক্তি সেখানকার একটি ভিডিওচিত্র ধারণ করেন। তাতে দেখা যায়, দুর্ঘটনার পর প্রায় ২৫ বছর বয়সী এক যুবককে ঘিরে ধরেছেন কয়েকজন ব্যক্তি।