বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

প্রয়োজন কৃষিভিত্তিক শিল্প কারখানা

————— মো. কামরুল ইসলাম

প্রয়োজন কৃষিভিত্তিক শিল্প কারখানা

বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন, লক্ষ্মীপুর জেলা সভাপতি মো. কামরুল ইসলামের মতে, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতিবন্ধকতা কাটাতে লক্ষ্মীপুরে কৃষিভিত্তিক শিল্প-কারখানা গড়ে তোলা জরুরি। তিনি বলেন, এ জেলায় কৃষিভিত্তিক শিল্প-কারখানা গড়ে তোলার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন প্রয়োজন এ বিষয়ে পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে কামরুল ইসলাম বলেন, কৃষিপ্রধান লক্ষ্মীপুর জেলায় ভারী শিল্প বলতে কিছু নেই। প্রতিবছর দেশে উৎপাদিত সয়াবিনের ৭৫ ভাগ উৎপাদিত হয় এ জেলায়। এ থেকে আয় হয় ৪০০ কোটি টাকা। এখানে সয়াবিনভিত্তিক শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠেনি এখনো। প্রতিবছর নারকেল থেকে প্রায় ৩০০ কোটি ও সুপারি থেকে আয় হয় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা। অথচ নারকেল ও সুপারি প্রক্রিয়াজাত করার কোনো কারখানা নেই। প্রচুর পরিমাণ ধান উৎপাদিত হলেও কৃষকরা কারখানা না থাকায় এসব পণ্যের ন্যায্যমূল্য পান না। এ ছাড়া জেলায় প্রচুর পরিমাণ আলু উৎপাদিত হলেও সংরক্ষণের জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে কোনো হিমাগার নেই। সবজি উৎপাদনে বিপ্লব ঘটলেও নেই সবজি সংরক্ষণের কোনো কোল্ড স্টোরেজ। তিনি মনে করেন, লক্ষ্মীপুরে কৃষিভিত্তিক শিল্প-কারখানা গড়ে তোলা হলে কৃষক যেমন তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবেন, তেমনি ব্যবসায়ীরাও নতুন শিল্প-কলকারখানা গড়ে তুলতে আগ্রহী হয়ে উঠবেন। এতে মানুষের কর্মসংস্থান বাড়বে।

সর্বশেষ খবর