শুক্রবার, ৭ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা
শিল্পায়নের ক্ষেত্রে নীলফামারীর রয়েছে অমিত সম্ভাবনা

স্থলবন্দর হলে বদলে যাবে জেলার চিত্র

— সফিকুল আলম ডাবলু

নীলফামারী প্রতিনিধি

স্থলবন্দর হলে বদলে যাবে জেলার চিত্র

নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি, নীলফামারী ডিপ্লোমা প্রকৌশলী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সফিকুল আলম ডাবলু মনে করেন, নীলফামারীর ডোমার উপজেলা সীমান্তবর্তী এলাকায় চিলাহাটি স্থলবন্দর বাস্তবায়িত হলে জেলার আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে যেমন আমূল পরিবর্তন আসবে, তেমনি উভয় দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে একটি ভালো সুযোগ তৈরি হবে, যার সুফল উভয় দেশই পাবে।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হলদিবাড়ীর সঙ্গে বাংলাদেশের উত্তরের চিলাহাটি স্থলবন্দর ও আন্তর্জাতিক চেকপয়েন্টের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ শুরু হবে। এখান থেকে ভারতের হলদিবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার।

এখন দরকার সৈয়দপুর চিলাহাটি সড়কটি চার লেন করা, চিলাহাটি-খুলনা রেললাইন ডাবল লাইন করা এবং উপমহাদেশের কমন হেরিটেজ হিসেবে চিহ্নিত কলকাতা-নীলফামারী-শিলিগুড়ি রেলপথে ট্রেন চলাচল চালু করা, যাতে উপ-আঞ্চলিক জোটভুক্ত নেপাল, ভুটান, ভারত ও বাংলাদেশের পণ্য এবং মানুষ চলাচলে সুবিধা হয়।

১৯৬৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর পাক-ভারত যুদ্ধের কারণে বন্ধ হওয়া চিলাহাটি স্থল শুল্ক স্টেশনটি পুনরায় চালু করা প্রয়োজন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ১ আগস্ট সরকারি গেজেটে চিলাহাটি স্থলবন্দর ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু অদ্যাবধি কার্যকর করা হয়নি। এটি দ্রুত কার্যকর করা জরুরি। স্থলবন্দর বাস্তবায়িত হলে বেকারত্ব দূরসহ এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এক নবদিগন্তের সূচনা হবে। এ ছাড়া ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের আত্মিক সম্পর্ক তৈরি হওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা হবে মাইলফলক। দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল চিলাহাটি স্থলবন্দর বাস্তবায়নের গেজেট গেজেটেই সীমাবদ্ধ না রেখে যত দ্রুত সম্ভব এর বাস্তবায়ন করতে হবে।

সর্বশেষ খবর