সমালোচনার মুখে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহত পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীকে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর নিয়োগপত্র বাতিল করেছে। একই সঙ্গে তাকে তার আবেদিত প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রশাসন। গতকাল বেলা আড়াইটায় রবিউল ইসলামের স্ত্রী উম্মে সালমার হাতে কর্মকর্তা পদের নিয়োগপত্র তুলে দেন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। এর আগে বৃহস্পতিবার যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও গ্রন্থাগার অফিসে তৃতীয় শ্রেণির উচ্চমান সহকারী পদে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

জানা যায়, ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহত পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলামের বিধবা স্ত্রী উম্মে সালমা পত্রিকায় প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে জাবিতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে আবেদন করেন। উক্ত পদে যোগ্যতা হিসেবে শিক্ষাজীবনের সব পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার কথা উল্লেখ ছিল। উম্মে সালমা শিক্ষাজীবনের একটি ছাড়া সব পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছেন। এদিকে নিহত এসি রবিউল ইসলাম জাবির সাবেক ছাত্র। তার আত্মত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে স্ত্রী উম্মে সালমাকে চাকরি দেওয়ার ঘোষণা দেয় জাবি। কিন্তু যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাকে বৃহস্পতিবার গ্রন্থাগার অফিসে উচ্চমান সহকারী পদে (তৃতীয় শ্রেণি) মাস্টাররোল ভিত্তিতে (কাজ করলে মজুরি) দৈনিক ৫২৫ টাকা মজুরিতে তিন মাসের জন্য অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়। অভিযোগ ওঠে, উম্মে সালমা যে পদের জন্য আবেদন করেছিলেন সেই পদে নিয়োগ দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ এস এম আবু দায়েনের স্ত্রীকে। এদিকে চাকরি নিয়ে এরূপ ঘটনায় সমালোচনার ঝড় ওঠে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। জাবি প্রশাসনের প্রতি তীব্র নিন্দা জানানো হয়। এ অবস্থায় জরুরি বৈঠক শেষে কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেওয়া হয় উম্মে সালমাকে।