মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

কামরানকে গ্রিন সিগন্যাল অন্য প্রার্থীরাও প্রচারণায়

সিসিক নির্বাচন ঘিরে আগাম প্রচারণায়

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

কামরানকে গ্রিন সিগন্যাল অন্য প্রার্থীরাও প্রচারণায়

সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের এখনো প্রায় বছরখানেক বাকি। কিন্তু এখনই প্রচারণাযুদ্ধে নেমে পড়েছেন সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। এর অংশ হিসেবে সিলেট নগরজুড়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিভিন্ন ধরনের ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড ও তোরণ শোভা পাচ্ছে। আওয়ামী লীগ থেকে অন্তত চারজন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার দৌড়ে আছেন। তবে দলীয় প্রার্থী হিসেবে সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনা ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। কিন্তু এ তথ্যে দলটির অন্য সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা এখনই মাঠ ছেড়ে দিতে নারাজ। আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র পদে নির্বাচন করতে আগ্রহী নগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ ও সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহিউদ্দিন আহমদ সেলিম। রাজনীতিতে সক্রিয় না হলেও সেলিম অর্থমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত।

সিসিকের সর্বশেষ নির্বাচন হয় ২০১৩ সালের ১৫ জুন। তখন আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে পরাজিত করে মেয়র হন বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী। সিসিকের পরবর্তী নির্বাচন আগামী বছরের শুরুর দিকে করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। আগামী নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হবে, এজন্য সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলের মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করছেন। আওয়ামী লীগ সূত্র জানিয়েছে, শনিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী সংসদের সভায় সিসিকের আগামী নির্বাচনের জন্য মাঠে কাজ করতে সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে নির্দেশ দিয়েছেন দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনা। দলের কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি কামরান সিসিকের প্রথম দুই নির্বাচনে মেয়র হন। তবে গত নির্বাচনে পরাজয়বরণ করেন। তবে আগামী নির্বাচনের জন্য শেখ হাসিনার গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে নতুন উদ্যমে মাঠে নামছেন কামরান।

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা মাঠে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন কামরানকে। এটা কামরানের জন্য একধরনের গ্রিন সিগন্যাল। এ ব্যাপারে কামরান বলেন, ‘জনগণের জন্যই আমার রাজনীতি। দল ও নেত্রীর প্রতি আনুগত্য রেখে সব সময়ই জনমানুষের পাশে আছি।’ আসাদ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন সব জায়গা থেকেই সাড়া পাচ্ছি।’ আজাদুর রহমান আজাদ বলেন, ‘দলীয় সভানেত্রী যে নির্দেশনা দেবেন, সে অনুযায়ীই কাজ করব।’

মাহিউদ্দিন আহমদ সেলিম বলেন, ‘মেয়র পদে নির্বাচন করার জন্য সব মহল থেকে অনুরোধ আসছে।’

সর্বশেষ খবর