শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

আরডিএ চেয়ারম্যান নিয়োগে বিধি লঙ্ঘন

দুদুকের তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

আরডিএর বিদ্যমান নিয়োগবিধি লঙ্ঘন করেই রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) চেয়ারম্যান পদে বজলুর রহমানকে প্রথমে এক বছরের চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে দুই বছরের জন্য তার চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। আবারও চুক্তির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিয়োগবিধিতে নির্দিষ্ট পদের সরকারি কর্মকর্তা ছাড়া বেসরকারি কলেজের কোনো শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়ার বিধানই নেই।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট বজলুর রহমানকে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান পদে চুক্তিভিত্তিক ও শর্তসাপেক্ষে এক বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর চুক্তির মেয়াদ পরবর্তী দুই বছরের জন্য বাড়ানো হয়। চুক্তির শর্তাবলি অনুযায়ী আগামী ৩১ আগস্ট চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সেবাস্টিন রেমা স্বাক্ষরিত নিয়োগ প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয় এ নিয়োগ কিছু শর্ত ও চুক্তির মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক চেয়ারম্যানের ক্ষমতা ও সুযোগ-সুবিধা নির্ধারিত।

সূত্রগুলো থেকে জানা গেছে, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) নিয়োগ প্রবিধানমালা বা বিধি যা ২০০৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় আইন হিসেবে জারি হয়, তাতে উল্লেখ রয়েছে, ‘আরডিএর চেয়ারম্যান হিসেবে সরকার কর্তৃক অতিরিক্ত সচিব বা যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার কোনো কর্মকর্তাকে প্রেষণে বদলির মাধ্যমে নিয়োগ করতে হবে। নিয়োগবিধিমালা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আরডিএর চেয়ারম্যান পদে অতিরিক্ত সচিব বা যুগ্ম-সচিব পদাধিকারী কর্মকর্তা ছাড়া আর কারও নিয়োগের কোনো সুযোগ নেই। আরডিএর একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, চেয়ারম্যান পদে বজলুর রহমানের চুক্তিভিত্তিক এই নিয়োগ পুরোপুরি অবৈধ। আদালতে কেউ তার নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে মামলা করলে নিয়োগ বাতিল হয়ে যাবে। বজলুর রহমান বানেশ্বর কলেজের বাংলার শিক্ষক ছিলেন। এরপর অধ্যক্ষ হন। অন্যদিকে সম্প্রতি বনলতার প্লট কেলেঙ্কারির পর আলোচনায় আসেন বজলুর রহমান। দুদক তার দুর্নীতি তদন্তে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। গত ৯ জুলাই বজলুর রহমানকে অপসারণের দাবিতে নগরীতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ হয়েছে।

সর্বশেষ খবর