মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দৈনিক লেনদেন ৮৪৪ কোটি টাকা

সংসদে মন্ত্রীর তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দৈনিক লেনদেন ৮৪৪ কোটি টাকা

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছেন, বর্তমানে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস)-এর মাধ্যমে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ ৮৪৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের গতকালের বৈঠকে এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানানো হয়। অর্থমন্ত্রীর পক্ষে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম উত্তর দেন। মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মোবাইল ব্যাংকিং-এ দৈনিক গড় লেনদেনের সংখ্যা ৪৯ লাখ ৫ হাজার। বর্তমানে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস)-এর এজেন্ট সংখ্যা ৭ লাখ ৪৬ হাজার এবং মোট গ্রাহক সংখ্যা ৫ কোটি ২৬ লাখ। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রদানরত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৭টি।

অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণ তিনগুণ বৃদ্ধির বিধান রেখে বিল উত্থাপন : জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ তিনগুণ বৃদ্ধি করে স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন-২০১৭ গতকাল সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সময় ১২ মাসের জমি কেনাবেচার দলিলের গড় বিবেচনায় নিয়ে জমির দাম নির্ধারণ করা হবে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে গতকালের বৈঠকে বিলটি উত্থাপন করেন ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলে বেসরকারি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকারের পূর্বানোমদন সাপেক্ষে জমি অধিগ্রহণের বিধান রাখা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, সরকারি প্রয়োজনে ভূমি অধিগ্রহণ করলে বাজার দরের ওপর অতিরিক্ত ২০০ ভাগ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করলে বাজার দরের ওপর অতিরিক্ত ৩০০ ভাগ দাম দিতে হবে।

বিলে বলা হয়েছে, অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৫০ বিঘা বা ১৬.৫০ একরের বেশি হলে জেলা প্রশাসককে তার প্রতিবেদন ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। কম হলে ভূমি কমিশনে পাঠাতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য স্থান নির্বাচনের পর, জেলা প্রশাসক আদেশ দ্বারা সংশ্লিষ্ট এলাকার জমি ক্রয়-বিক্রয় ও জমিতে অবকাঠামো তৈরির বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারবেন। বিলে আরও বলা হয়েছে, ধর্মীয় উপাসনালয়, কবরস্থান এবং শ্মশান হিসেবে ব্যবহৃত কোনো জমি অধিগ্রহণ করা যাবে না। 

পাট বিল পাস : কৃষি ও কারিগরি গবেষণার মাধ্যমে পাট ও পাট জাতীয় ফসলের উন্নত ও উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবনসহ পাটের বহুমুখী ব্যবহারের লক্ষ্যে প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে গবেষণা পরিচালনার জন্য ‘বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল-২০১৭’ সংসদে পাস হয়েছে।

সর্বশেষ খবর