বুধবার, ১২ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

ফাঁসির বিধান রেখে বেসামরিক বিমান চলাচল আইন পাস

চিকুনগুনিয়া নিয়ে তির্যক মন্তব্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফাঁসির বিধান রেখে বেসামরিক বিমান চলাচল আইন পাস

বিমান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টির জন্য ফাঁসিসহ নেভিগেশনের অনুরূপ আলো বা সংকেত ব্যবহার করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ কোটি টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রেখে বেসামরিক বিমান চলাচল আইন পাস হয়েছে সংসদে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল সংসদের ১৬তম অধিবেশনের বৈঠকে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। বিলটির ওপর আনীত সংশোধনী, যাচাই ও বছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

বিলের সপ্তম অধ্যায়ে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে বিমান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করলে মৃতদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়বিদ দণ্ডনীয় হবেন। বিমানের নেভিগেশনের অনুরূপ বা সাদৃশ্যপূর্ণ আলো বা সংকেত ব্যবহার করলে অনধিক যাবজ্জীবন করাদণ্ড বা অনধিক ৫ কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়বিদ দণ্ডনীয় হবেন। বিপজ্জনক পদ্ধতিতে বিমান চালানোর জন্যও একই দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। অপরাধ সংঘটনের সহায়তার জন্যও একই দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত বিমানের যন্ত্রাংশ বা মালামালা সরিয়ে ফেললে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং অপসারিত যন্ত্রাংশের দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। একইভাবে বিমানে বিপজ্জনক কোনো পণ্য পরিবহন করলে অনধিক সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডনীয় হবেন। একই দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে অবৈধভাবে বাংলাদেশের আকাশ সীমা লঙ্ঘনের জন্য। এ ছাড়া নিবন্ধন, লাইসেন্স, পারমিট জাল করাসহ আইনের বিধান লঙ্ঘন করার জন্য ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক এক কাটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডনীয় হবেন।

মোটরযান ও গণপরিবহনের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দিয়ে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিল পাস : যানজট নিরসনে মোটরযান ও গণপরিবহনের সংখ্যা নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণের অধিকার দিয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিল পাস করেছে সংসদ। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ১৬তম অধিবেশনের গতকালের বৈঠকে সংসদের স্থিরকৃত আকারে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন। বিলের ওপর আনীত সংশোধনীর কয়েকটি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। বিলে কর্তৃপক্ষ গঠনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর, সুশৃঙ্খল ও দক্ষ সড়ক পরিবহন সেবা গড়ে তোলা। কর্তৃপক্ষ মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন, রুট পারমিট, ফিটনেস, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন করবে।

চিকুনগুনিয়া হলে বুঝতেন এটা কী জিনিস : জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ সংসদে বলেছেন, চিকুনগুনিয়ায় যদি আপনাকে ধরত তাহলে বুঝতেন এটা কী জিনিস। আপনি ওখানে বসতে পারতেন না। আমরা যারা সংসদে আছি জমও আসে না আমাদের ভয়ের কারণে। আজ প্রতিটি ঘরে ঘরে সাধারণ মানুষ চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর