সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

নতুন আয়কর আইন তৈরিতে এনবিআরের তড়িঘড়ি

উপেক্ষিত করদাতা অংশীজনরা

রুহুল আমিন রাসেল

সুদীর্ঘ ৩৩ বছর পর নতুন আয়কর আইন তৈরিতে তড়িঘড়ি শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। ফলে এই গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণয়নে করদাতা, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের মতামত উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও এনবিআর বলছে, ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশের বিপরীতে নতুন আইন প্রণয়নের কাজ একেবারেই খসড়া পর্যায়ে রয়েছে। এক্ষেত্রে বিভাগীয় মতামত ও মূল্যায়নের পাশাপাশি পর্যায়ক্রমে সংশ্লিষ্ট সবার বক্তব্য বা সুপারিশ গ্রহণ করা হবে। জানা গেছে, নতুন মূল্য সংযোজন কর-মূসক বা ভ্যাট আইন সরকার দুই বছর স্থগিত করার পরেই, দ্রুতগতিতে নতুন আয়কর আইন তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজস্ব প্রশাসন। নতুন আয়কর আইনের খসড়া প্রণয়নে পরামর্শ সক্রান্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ কর অঞ্চলকে। এ অঞ্চলের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানান, তাদের যে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সে অনুযায়ী,  ১৯৮৪ সালের আয়কর আইন ইংরেজি ভাষায় প্রণীত হলেও নতুন আয়কর আইন বাংলা ভাষায় প্রণয়ন করা হচ্ছে। নতুন আইনটি কমপক্ষে পাঁচ বছর বহাল রাখার সুপারিশ করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিদেশি ব্যবসা ও বিনিয়োগ বাড়াতে হ্রাসকৃত হারে করারোপের বিধান থাকছে। নতুন যেসব বিধান সংযুক্ত করা হচ্ছে, তাতে রয়েছে  সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কর্মসূচি— সিএসআর কর্মকাণ্ডে খরচ হওয়া অর্থ ব্যবসার খরচ হিসেবে বিবেচনা করা। নতুন করহারসহ অন্যান্য আইন অর্থবছরের শুরুতেই প্রণয়ন করা। ব্যক্তি-শ্রেণির করদাতাদের ওপর আরোপিত সারচার্জ বাতিল করা। মোটর গাড়ির ফিটনেস নবায়ন করার সময়ে করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর— টিআইএনের পরিবর্তে ট্যাক্স কিলিয়ারিং সার্টিফিকেটের বিধান আরোপ করা। মেডিকেল খরচ নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে না রেখে উন্মুক্ত রাখা। অর্থাৎ— প্রমাণ উপস্থাপন সাপেক্ষ খরচ অনুমোদন করা।

এ প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ  শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন-এফবিসিসিআই     সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নতুন আয়কর আইন তৈরি নিয়ে   ব্যবসায়ী সমাজের সঙ্গে কোনো ধরনের আলাপ-      আলোচনা এখন পর্যন্ত শুরু করেনি এনবিআর। আশা করছি, এমন আইন করার আগে অংশীজন হিসেবে ব্যবসায়ীদের পরামর্শ ও সুপারিশ নেবে এনবিআর।

সর্বশেষ খবর